• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:১৭

মঙ্গলমাঝির ঘাটে ৯ ঘণ্টায়ও মিলছে না ফেরি

  • জাতীয়       
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২২       
  • ৭৮
  •       
  • ১৮-০৪-২০২২, ১১:২২:২৪

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সন্ধ্যার পরই বন্ধ হয়ে যায় মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট। ফলে শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাটে বাড়তে থাকে গাড়ির চাপ। কিন্তু এ ঘাটে ফেরি কম থাকায় ৭-৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনকে। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রী ও চালকদের। মঙ্গলমাঝির ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে এ ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে নৌপথটিতে দিনে তিনটি এ টাইপের ফেরি, দুটি ডাম্প ফেরি ও একটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। আর রাতে শুধু তিনটি এ টাইপের ফেরি চলাচল করছে। তখন ডাম্প ফেরি দুটি ও ছোট ফেরি বন্ধ রাখা হয়। দিনে রাতে মিলে নৌপথটিতে ৬০০ থেকে সাড়ে ৭০০ যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘাটটিতে পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদী পার হতে প্রতিদিন অন্তত ১০০০-১২০০ গাড়ি আসছে। কিন্তু ফেরি কম থাকায় ৭-৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনকে। ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় মঙ্গলমাঝির ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট থেকে পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন সাইট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি আর গনির মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী গড়ির জট লেগে আছে। গাড়ি চালক সুমন আহম্মেদ গিয়াস বলেন, বরিশাল থেকে দুপুরে রওনা হয়েছি। মাছ নিয়ে ঢাকায় রাতের বাজার ধরার কথা ছিল। কিন্তু রাত ২টায়ও ফেরি পাবো না। দ্রুত পৌঁছাতে না পারলে মাছ পচন ধরবে। ব্যক্তিগত গাড়ির চালক শামীম খান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় ঘাটে আসি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। এভাবে প্রতিদিনই অপেক্ষার পর ফেরি পাওয়া যায়। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি।
 
মঙ্গলমাঝির ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মেহেদী হাসান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিকেল ৪টার পর ঘাটে গাড়ি বাড়তে শুরু করে। এ ঘাটটি ছোট, এছাড়া ফেরি চলাচল করে কম। গাড়ি ও যাত্রীদের শৃঙ্খলা রাখতে আমরা কাজ করছি। মঙ্গলমাঝির ঘাট ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কারণে রাতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তাই বিকল্প মঙ্গলমাঝির ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এ ঘাটে ফেরি বাড়ানোর কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ফেরি বাড়ানো হলে আশা করি গাড়ির চাপ কমবে। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথ দিয়ে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। ওই নৌপথে ফেরি চলতে গিয়ে ২০২১ সালের ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে রো রো ফেরির। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরিগুলো পদ্মা সেতুর সঙ্গে কয়েক দফা ধাক্কা লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ১৮ আগস্ট থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকে শরীয়তপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েন। এরপর নদীর স্রোত কমে গেলে ওই নৌপথে দিনের বেলা স্বল্প পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়। জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় ২৫ আগস্ট নতুন করে একটি ফেরি ঘাট নির্মাণ করে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিটিএ। নাব্য সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ওই পথে ফেরি চালু করা যায়নি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।