• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৩৫

মধ্যরাতের সংঘর্ষের সূত্রপাত খেয়ে টাকা না দেওয়ায়

  • জাতীয়       
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২       
  • ১৪৯
  •       
  • ১৯-০৪-২০২২, ১০:১৪:২৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : খাবারের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। ব্যবসায়ীরা জানান, নিউমার্কেটের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীরা লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে তাদের মারধর করেন। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ দেশকন্ঠকে বলেন, প্রায়ই চাঁদা আদায় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। শিক্ষার্থীরা হাজার টাকার কাপড় ৫০/১০০ টাকায় নিতে চান। এসব নিয়ে মাঝে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবার কখনও খেয়ে টাকা দেন না শিক্ষার্থীরা। আজও এমন ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি, ফাস্টফুডের দোকানের টাকা দেয়নি; তাই ঝগড়া হয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ এক ঝাঁক শিক্ষার্থী লাঠিসোটা ও ইট নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে তাদের বাধা দেয়।
 
 
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংঘর্ষে আহত জুতা ব্যবসায়ী মাসুম মোল্লা দেশকন্ঠকে বলেন, আমি গাউছিয়া মার্কেটের সামনের রাস্তায় জুতার ব্যবসা করি। মাঝ রাতে দোকান গোছানোর সময় হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একটি আমার মাথায় লাগে। মাথা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেশকন্ঠের ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে ছোড়া হয় রাবার বুলেট। তিনি আরও জানান, পুলিশ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো নিউমার্কেট এলাকা। ভাঙা ইটের টুকরায় ছেয়ে যায় প্রধান সড়ক। ফুটপাতে থাকা চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। কোথাও কোথাও সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে মূল সড়কের পাশের বেশ কয়েকটি ভবনের কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের জেরে মিরপুর রোডের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, দেশকন্ঠের ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিবেদক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান দেশকন্ঠকে বলেন, রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।