দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : খাবারের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। ব্যবসায়ীরা জানান, নিউমার্কেটের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীরা লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে তাদের মারধর করেন। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ দেশকন্ঠকে বলেন, প্রায়ই চাঁদা আদায় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। শিক্ষার্থীরা হাজার টাকার কাপড় ৫০/১০০ টাকায় নিতে চান। এসব নিয়ে মাঝে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবার কখনও খেয়ে টাকা দেন না শিক্ষার্থীরা। আজও এমন ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি, ফাস্টফুডের দোকানের টাকা দেয়নি; তাই ঝগড়া হয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ এক ঝাঁক শিক্ষার্থী লাঠিসোটা ও ইট নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে তাদের বাধা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংঘর্ষে আহত জুতা ব্যবসায়ী মাসুম মোল্লা দেশকন্ঠকে বলেন, আমি গাউছিয়া মার্কেটের সামনের রাস্তায় জুতার ব্যবসা করি। মাঝ রাতে দোকান গোছানোর সময় হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একটি আমার মাথায় লাগে। মাথা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেশকন্ঠের ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে ছোড়া হয় রাবার বুলেট। তিনি আরও জানান, পুলিশ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো নিউমার্কেট এলাকা। ভাঙা ইটের টুকরায় ছেয়ে যায় প্রধান সড়ক। ফুটপাতে থাকা চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। কোথাও কোথাও সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে মূল সড়কের পাশের বেশ কয়েকটি ভবনের কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের জেরে মিরপুর রোডের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, দেশকন্ঠের ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিবেদক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান দেশকন্ঠকে বলেন, রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ