• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩২

পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে হচ্ছে ৬টি সীমান্ত হাট

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মধ্যেই খুশির খবর রাজ্যবাসীর জন্য। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দু’দেশের নাগরিকদের সুবিধার জন্য চালু হতে চলেছে ৬টি সীমান্ত হাট। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে, বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে দীর্ঘদিনের প্রস্তাব ছিল মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্তের মতো পশ্চিমবঙ্গেও চালু হোক সীমান্ত হাট। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনাও করেন। এরপরেই জানা গেলো সীমান্ত হাটের অনুমোদন মিলেছে। এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি সীমান্ত হাট রয়েছে। মেঘালয় সীমান্তে কালীচরণ ও বালাটে দুটি এবং ত্রিপুরা সীমান্তে শ্রীনগর ও কমলাসাগরে দুটি হাট রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সীমান্ত হাটটি শুরু হতে চলেছে মালদা ও বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। সূত্র মারফত আরও জানা গেছে, মালদা ছাড়াও আর ৫টি সীমান্ত হাট পশ্চিমবঙ্গে চালু করা হবে। এই সীমান্ত হাটগুলো চালু করার জন্য ইতোমধ্যে ভারত সরকারের তরফে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে জিরো পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট সীমান্তের ঘোজাডাঙা ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তবর্তী এলাকা, নদীয়া গেদে-চুয়াডাঙার দর্শনা সীমান্ত ও উত্তরবঙ্গের হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে সীমান্ত হাটের জন্য।
 
এই বিষয়ে নয়া দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে মালদা সীমান্ত হাট তৈরি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মালদার সীমান্ত হাট শুরু পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে মিলেছে সবুজ সংকেত। বাজার তৈরির জন্য দুই দেশের জমিই অধিগ্রহণ করা হবে। জিরো পয়েন্ট লাগোয়া বাংলাদেশের ৭৫ মিটার জমি ও পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ মিটার জমি অধিগ্রহণ করে যৌথভাবে তৈরি হবে সীমান্ত হাট। সীমান্ত হাটে পণ্য সম্ভার নিয়ে বিক্রি করতে পারেন দু’দেশের সীমান্তে থাকা গ্রামের বাসিন্দারা। ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সীমান্তের দু’পারে বসবাসরত মানুষের বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে সীমান্ত হাট স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করে। এরপর ৮ এপ্রিল ২০১৭ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে পণ্যের তালিকা ও গ্রাহক পিছু খরচের মাত্রা বাড়ানো হয়। এটি  সপ্তাহে এক দিন চালু থাকে। এই হাটে সীমান্ত এলাকায় উৎপাদিত কৃষকের কাঁচা সবজি ছাড়াও খাদ্য শস্য, মিষ্টি, মাছ, মাংস, ডিম যেমন বিক্রি হবে তেমনি প্লাস্টিকজাত সামগ্রী বিক্রি হবে। শুধ তাই নয়, জামা-কাপড়, শাড়িসহ একাধিক সামগ্রী বিক্রির সুপারিশ রয়েছে সরকারি তালিকায়। দুই দেশের সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা এই বাজারে তাদের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরণের হাট গড়ে তুলতে পারলে সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষত, গুরু পাচারে রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।