দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদে বাড়ি ফিরতে দক্ষিণ অঞ্চলগামী মানুষের যাত্রার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। আর এ বছর ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে কদিন আগেই সদরঘাটের লঞ্চগুলোতে অগ্রিম টিকেট বুকিং শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আগামী ৩০ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত লঞ্চের কেবিন বুকিং শেষ হয়েছে। ২১ এপ্রিল রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের টিকেট কাউন্টার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৭ লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিনে ১০০ টাকা ভাড়া বেড়ে ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ হয়েছে। ডাবল কেবিনে ২০০ টাকা বেড়ে ২৪০০-২৬০০ টাকা হয়েছে। ভিআইপি ১ হাজার টাকা বেড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার হয়েছে। অন্যদিকে, আগের ভাড়াই এখনও বহাল আছে পারাবত-১২ লঞ্চে। সিঙ্গেল কেবিন ১৪০০ টাকা। ডাবল ২৮০০ টাকা, ভিআইপি ৮-১০ হাজার, ডেক ৩৫০ টাকা।
এম কে শিপিং-এর টিকেট বিক্রয়কর্মী হাসান বলেন, আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে এবং ১ মে পর্যন্ত সরাসরি টিকেট বুকিং হচ্ছে। ইতোমধ্যে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের কেবিনের সব টিকেট বুকিং হয়ে গেছে। সুরভি-৮-এর সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট সুরভি বাদে আরো দুইটা ওয়েবসাইট থেকে টিকেট বুকিং দিতে পারছেন। ইতোমধ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের টিকেট বুকিং শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র আগামী ১ মে কিছু বুকিং খালি আছে। আশা করছি, আজকালের মধ্যে এগুলো শেষ হয়ে যাবে। সুন্দরবন-১০-এর সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ বলেন, ফোনে বা সরাসরি এসে যাত্রীরা কেবিন বুকিং দিতে পারছেন। তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। আমাদের গত ১৭ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সকল টিকেট বুকিং শেষ হয়েছে।
অ্যাডভেঞ্চার-১ কেরানি রফিক বলেন, আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের বুকিং শেষ হয়েছে। এছাড়া, আমরা আগামী ১০ মে পর্যন্ত যাত্রীদের ফিরতি টিকেট বুকিং দিচ্ছি। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, এ বছর যাত্রীদের নিরাপত্তা ও কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লঞ্চে কেবিনের টিকেট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীবন্দর থেকে আমদের এই নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। গত দুবছর ঈদে আমাদের খারাপ অবস্থা গেছে। এইবার যাত্রীদের চাপ বাড়বে। সেই অনুযায়ী আমাদের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়ে গেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা দরকার সেই প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ