দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা কারবালার নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ২২ এপ্রিল রাজধানীর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীতে যত রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন, অভ্যুত্থান ও অন্যান্য ঘটনা ঘটেছে কোথাও এত বড় নিষ্ঠুরতা দেখা যায়নি। যেটা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার মাধ্যমে ঘটেছিল। শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো বলেন, শেখ রাসেল আমাদের প্রেরণার জায়গা। শেখ রাসেল ছিল অমিত সম্ভাবনাময় এক প্রতিভা। বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সবচেয়ে ভালোবাসা ও স্নেহের ছিল শিশু শেখ রাসেল।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ রাসেলের স্বপ্ন তিমিরেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল এদেশের বর্বর, খুনি, কুলাঙ্গাররা। যার নেপথ্যে ছিল জিয়াউর রহমান। যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ১৫ আগস্টের নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটাতে জিয়াউর রহমান খুনিদের এগিয়ে যেতে বলেছিল। পরে খুনিদের বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসিত করেছিল জিয়া। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের খুনের বিচার করা যাবে না, এ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল জিয়াউর রহমান।
এ সময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে না থাকলে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক পূর্ব পাকিস্তানের মতো থাকতো। আজ দেশের উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এসব কিছু শেখ রাসেলের বড় বোন শেখ হাসিনার হাত ধরে সম্ভব হয়েছে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সম্পৃক্ত শিশু-কিশোররা যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়, মাদকাসক্ত না হয়, ভুল পথে না যায় এবং শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ জীবন গড়ে তুলতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনসহ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশকণ্ঠ/রাসু