দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদকে কেন্দ্র করে জমজমাট নতুন টাকার বাজার। নতুন টাকা পেয়ে ক্রেতা যেমন খুশি, বাড়তি টাকা আয় করতে পেরে বিক্রেতাও খুশি। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নতুন টাকার বাজার। ঈদের দিন ঈদ সালামি দিতে বেশি দামে এসব নতুন টাকা কিনতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে, একজন ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অন্য সময়ের চেয়ে ঈদের কারণে এখন ক্রেতার সংখ্যা বহুগুণ। ফলে, দরকষাকষির সুযোগও কম। বিক্রেতা এক দাম বলে বসে থাকছেন। ১০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল অর্থাৎ এক হাজার টাকা নিতে ১৬০ টাকা বেশি দিতে হবে জানিয়ে তাঁরা বসে থাকছেন। সব নোটের ক্ষেত্রেই এক দাম বলে বসে থাকছেন বিক্রেতা। ক্রেতারাও উপায় না পেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে নতুন টাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকজন ক্রেতা সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারের চেয়ে এবার বেশি বাট্টা দিয়ে নতুন টাকা নিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে নাদিম হোসেন বলেন, ‘নতুন টাকার ঘ্রাণ দারুণ লাগে। বাড়িতে যাব, সবাইকে নতুন টাকা দেব। বাচ্চা-কাচ্চাদের দেব, ভালো লাগবে। তারা আনন্দ পাবে। নাকে নিয়ে গন্ধ শুকবে। হাতে নিয়ে বারবার নেড়েচেড়ে দেখবে। এটা দেখতে আমারও ভালো লাগবে।’ শরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা ৫০ টাকার নোট নিতে চাইলেন ২০০টি। দোকানি মো. রহিমুল তাঁর কাছে ৩৮০ টাকা অতিরিক্ত চাইলেন। পরে ৩৫০ টাকায় তা দিয়ে দিলেন। এ সময় শরিফুল বলেন, ‘ঈদের সময় নতুন টাকা লাগে, নিতেই হবে।’একশ্রেণীর লোক ব্যাংকের লোকদের কাছ থেকে কিনে দোকানিদের কাছে সামান্য লাভে টাকা বিক্রি করে। ব্যাংক থেকে টাকা আনার জন্যও লাভ দিতে হয়। এভাবে বিভিন্ন স্তরে লাভ দিয়ে নতুন টাকা পৌঁছে সাধারণের হাতে।
দেশকণ্ঠ/রাসু