দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দুই বছর পর ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার হাট চালু করা হয়েছে। চালু হওয়া হাটগুলো হলো; বালাট (পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলা, মেঘালয়, ভারত), লাউয়াঘর (ডালোরা, সুনামগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ)। ২৬ এপ্রিল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। হাইকমিশন জানায়, যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ১৯ এপ্রিল একটি যৌথ সভায় এ বর্ডার হাট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২ মে রিংকু (পূর্ব খাসি পাহাড়, মেঘালয়) বাগান বাড়ি (ডুয়ারা বাজার, সুনামগঞ্জ) সীমান্ত হাট পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৬ মে নালিকাটা (দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়, মেঘালয়)- সায়দাবাদ (তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ) সীমান্ত হাট পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হাইকমিশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৭টি বর্ডার হাট রয়েছে এবং আরও ৯টি নতুন সীমান্ত হাট পরিকল্পনাধীন রয়েছে।হাইকমিশনের ভাষ্য, বর্ডার হাটগুলো দুই দেশের মধ্যে একটি বাজার যা সীমান্তের উভয় পাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের স্থানীয় পণ্য বাজারজাত করতে এবং ক্রয় করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্ডার হাট আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এবং জনগণের যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ করছে। পর্যালোচনা এবং স্থানীয় সমীক্ষা অনুসারে, বর্ডার হাটগুলো স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে নারী এবং যুবকদের জন্য পরিবহনকারী, বিক্রেতা, শ্রমিক এবং খাদ্য স্টলের মালিক হিসাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এটি সীমান্ত জনগণের জন্য আয়ের অতিরিক্ত উৎসও প্রদান করেছে এবং মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ বাড়িয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ডার হাট হলো প্রাণবন্ত কেন্দ্র যা মানুষের সাথে মানুষের সংযোগের প্রচার করে, যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় জনগণের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য, ক্ষুদ্র কৃষি ও গৃহস্থালির পণ্য, গৌণ বনজ পণ্য, তাজা ও শুকনো মাছ, কুটির শিল্পের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, তাঁত এবং হস্তশিল্পের জিনিসপত্র ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পায়।
দেশকন্ঠ/অআ