• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:১৫

ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সেই চেয়ারম্যান

  • জাতীয়       
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২       
  • ৭৮
  •       
  • ২৮-০৪-২০২২, ০৯:৩৯:২০

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। তার এই দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)। তিনি মৌতলা ইউনিয়নের মাজেদের মেয়ে। গত কয়েক মাস আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সাঈদ মেহেদীর এই বিয়ের একটি ভিডিও। ভিডিও ভাইরাল হলেও বিষয়টি তখন ধোঁয়াশার মধ্যে রাখেন তিনি। তবে এবার এই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন চেয়ারম্যান। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বিরোধ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কোয়ার্টারের আশপাশে বসবাসরত অনেকে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস যাবত উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারের ভেতরে দিনরাত এক  তরুণীকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে কোয়ার্টারের ভেতর থেকে মারপিটের শব্দ শোনা যায়। প্রতিদিন সাহরির সময় চেয়ারম্যান কাউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেইসঙ্গে প্রচণ্ড মারপিটেরও শব্দ শোনা যায় বলে জানান তারা। তার সঙ্গে থাকা ওই তরুণীকে মারধর ও গালিগালাজ করতে পারেন বলে তাদের ধারণা। এর আগে ২০১৩ সালে আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।
 
জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনা ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে মিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন মিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী । গত কয়েক বছর আগে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। বহুদিন চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের কথা শোনা গেলেও বিষয়টি অস্বীকার করতেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন। তার কোয়ার্টারে দ্বিতীয় স্ত্রী মিনা বর্তমানে অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে তিনি বিয়ে করেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। কোয়ার্টারে মারপিট ও গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার পারিবারিক বিষয় নিয়েও আপনার সঙ্গে বলতে হবে নাকি?’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে মিনা। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।