• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৫১

এখনো ঈদ বোনাস পাননি ৩০ শতাংশ পোশাকশ্রমিক

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পোশাক শিল্পে ৩০ শতাংশ শ্রমিক এখনও ঈদুল ফিতরের বোনাস পাননি। কারখানা ছুটির আগেই এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমিক এপ্রিল মাসের নির্ধারিত বেতন পাননি। শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। তবে পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা বলছেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত অধিকাংশ কারখানায় বোনাস হয়েছে। এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতনও দিয়েছে অনেক কারখানা। শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংক খোলা থাকছে, এ সময়ের মধ্যেই সবাই সব বকেয়া পেয়ে যাবেন। শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, ঈদের আগের সর্বশেষ কর্মদিবস ছিল ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পোশাক খাতের ৪ হাজার কারখানার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানার শ্রমিক ঈদ বোনাস পাননি। এখনও প্রায় ৩০ ভাগ কারখানা শ্রমিকের বোনাস দেয়নি। বোনাস-বেতন বাকি রাখা এসব কারখানাগুলো বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সদস্যভুক্ত। শিল্প কারকানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত শিল্প পুলিশের মতে, ৩০ এপ্রিল মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বোনাস পাবেন। এপ্রিলের বেতনও দেওয়া হবে এসব কারখানায় এবং এ নিয়ে কাজ করছে শিল্প পুলিশ। চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধপণ্যসহ অন্যান্য খাতের কারখানা রয়েছে মোট ৬ হাজার। তবে এসব কারখানার বেতন-বোনাসের হিসাব নেই শিল্প পুলিশের কাছে।
 
তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জানান, বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত অধিকাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়ে গেছে। যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস বাকি রয়েছে শুক্র ও শনিবারের মধ্যে সেটিও পরিশোধ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি ঈদের আগে কোনো শ্রমিকের বেতন ও বোনাস বাকি থাকবে না। একই কথা জানিয়েছে বিকেএমইএ। এদিকে, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত অধিকাংশ প্লাস্টিক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে। বৃহস্পতিবার বিপিজিএমই’র সভাপতি সামিম আহমেদ এবং পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে সামিম আহমেদ বলেন, বিপিজিএমইএ’র সদস্য অধিকাংশ প্লাস্টিক শিল্প প্রতিষ্ঠান আসন্ন ঈদ উপলক্ষে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেছে। প্রতিবছর ঈদের আগেই সংশ্লিষ্ট সকল কারখানার মালিকরা বেতন বোনাস নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প কারখানা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, বিজিএমইএ-বিকেএমইএ’র সদস্যসহ সব মিলিয়ে চার হাজারের মতো। এদের বেশিরভাগেরই বেতন বোনাস হয়েছে। এর মধ্যে ১০-১২টিতে এখনও বেতন-বোনাস হয়নি, যার মধ্যে তিনটি কারখানা খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। সরকারের সঙ্গে মালিক-শ্রমিক মিলে আলোচনা হচ্ছে। আশা করি সবগুলোতেই বেতন-বোনাস হবে। সম্প্রতি বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত কারখানার শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নামে। এটাতো আগেই সমাধান করা উচিত ছিলো। শ্রমিক কাজ করবে কেন যদি সে বেতন না পায়? এটা তার অধিকার।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।