দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। মহাসড়কে অনেক যাত্রীকেই যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তবে যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ এড়াতে আজই মানুষ গ্রামের দিকে ছুটছেন। এজন্য সন্ধ্যার পর থেকেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। চিটাগাংরোড থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত নন এসি বাসে ১৮০ টাকার ভাড়া ২২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চিটাগাংরোড থেকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত নন এসি বাসে ৫৮০ টাকার পরিবর্তে ৬৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তবে বাসের হেলপাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কিছু বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা ঈদের অজুহাত দেখাচ্ছেন। তারা বলেন, বছরে এই কয়েকটা দিনই আমরা একটু বেশি ভাড়া নেই। যা যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই।
ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের যাত্রী আবীর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছি। অন্য বছরের চেয়ে এবছর একটু বেশি ভালো লাগছে। আসতে দেখলাম সড়কের অনেক পুলিশ ডিউটি করছে। অতিরিক্ত পুলিশ থাকায় যানবাহন চালকরা সড়কে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করছে। তবে ভাড়া একটু বেশি গুনতে হয়েছে। সালাম মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য অনেকটা কষ্টকর বিষয়। গ্রামে তো যেতেই হবে, তাই বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে বাধ্য হচ্ছি। আফসানা আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ফেনী যাওয়ার জন্য আমি ৩০ মিনিট ধরে শিমরাইল মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। এখনো বাসের কোনো খবর নেই। তীব্র গরমে এভাবে রাস্তায় আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আল্লাহই জানেন। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হোন্ডা পার্টি, মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে। আশা করছি এবারের ঈদযাত্রা সবার ভালো হবে।
দেশকন্ঠ/অআ