দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। শুরু হয়েছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বাস টার্মিনালে আজকে অতটা ভিড় না হলে রেল স্টেশনে মানুষের চাপ দেখা গেছে। কমলাপুর স্টেশনে রেলের শিডিউল বিপর্যয় দেখে গেছে। সরকারি ঘোষণায় সপ্তাহের শেষ দিন ও ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিলো বৃহস্পতিবার। সে হিসেবে মানুষ ছুটছেন তাদের গন্তব্যে। রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে দুরপাল্লার বাসগুলো পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই সময়মতো ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। বহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে লঞ্চ টার্মিনালে তেমন যাত্রী দেখা না গেলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। রাতে যাত্রীর ঢল দেখা গেছে।
ঈদ যাত্রার বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন সকালে কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় মতো ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।তবে সন্ধ্যার পর কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়। সকাল থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ১৬টি ট্রেনের মধ্যে একটি মাত্র ট্রেন (নীলসাগর এক্সপ্রেস) আধা ঘণ্টার মতো দেরি করে ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল জানান, গতকাল ও আজ শুক্রবার এই দুদিনের রেলের টিকিটে চাপ ছিল। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরবঙ্গ ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের চাপ ছিল। ভোর থেকেই গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাখে বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ও বাড়তে থাকে।
দেশকন্ঠ/অআ