দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার যাত্রীদের ব্যস্ততা কিছুটা কম। প্রতিবার ঈদের সময় ট্রেন ও লঞ্চ রুটের পাশাপাশি গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর সীমিত পরিসরে ঈদ পালনের পর কর্তৃপক্ষ এবার ঘরে ফেরা মানুষের প্রচণ্ড চাপের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। কিন্তু তেমন হয়নি। ২৯ এপ্রিল সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যারা রাজধানী ছেড়েছেন তাদের বেশিরভাগই অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন এবং অন স্পট টিকিট বিক্রি তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বিভিন্ন বাসের কাউন্টার ম্যানেজারদেরও অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাউন্টার ম্যানেজাররা অনেকেই জানিয়েছেন, অনেক বাস খালি আসন নিয়ে রাজধানী ছেড়েছে, যা ঈদের সময় অন্যান্য বছরের তুলনায় অবিশ্বাস্য।
সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ মইনুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ফেরি টার্মিনালগুলোতে কোনো যানজট না থাকায় বাসগুলো সময়মতো ঢাকায় আসছে।” তবে শনিবার থেকে চাপ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। সোহেল নামে গাবতলী টার্মিনালের এক যাত্রী জানান, তিনি নিজের জন্য অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন, কিন্তু খালি কাউন্টার দেখে হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু আশা করছি মহাসড়কে কোনো যানজট যেন না পাই।” কাইয়ুম নামে আরেক যাত্রী বলেন, “গত দুই বছরে সীমিত পরিসরে যখন গণপরিবহন চলছিল তখন টার্মিনালে এর থেকে বেশি লোক দেখেছি। এবার সবকিছু স্বাভাবিক তারপরও কেন চাপ নেই বুঝতে পারছি না।”
এদিকে, বাস কাউন্টারগুলো টিকিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগের পর শুক্রবার সকালে গাবতলী টার্মিনালে বাস কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গাবতলীতে ভিড় না থাকলেও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন শুক্রবারও কমলাপুর রেলস্টেশন ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি ট্রেনই কানায় কানায় ঠাসা ছিল, হাজার হাজার যাত্রী দাঁড়িয়ে এবং টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করছিলেন। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল থেকে যানজট না থাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
দেশকন্ঠ/অআ