• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২৯

জমে উঠছে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটা

  • জাতীয়       
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২২       
  • ৫৯
  •       
  • ৩০-০৪-২০২২, ১০:১৪:৩৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-ফিতর। আর তাই অনেক দরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের মানুষদেরও সচ্ছল মানুষদের মতো কেনাকাটার ব্যস্ততা বেড়েছে। কম বাজেটের ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, প্রসাধনী ও গয়নাসহ অন্যান্য পছন্দের জিনিসগুলো কম দামে কেনার জন্য ফুটপাত এবং অন্যান্য অস্থায়ী দোকানে ভিড় করছেন। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় ফুটপাত ও খোলা জায়গায় শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে মূলত নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের লক্ষ্য করে। বিক্রেতাদের মতে, অনেক মধ্যবিত্ত ক্রেতাও তাদের স্টলে ভিড় করছেন। কারণ তাদের কাছে শপিং মলের মতো বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের পোশাক এবং অন্যান্য সব ধরনের পণ্য রয়েছে। ফুটপাতের বিক্রেতারা আরও বলেছেন, তারা ভালো গ্রাহক টানছেন। কারণ কোভিড মহামারির কারণে মানুষ দুই বছর বিরতির পর এবার পুরোদমে কেনাকাটা করার সুযোগ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী, ফকিরাপুল, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা ও মিরপুর এলাকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যায়। মেয়েদের পোশাক, শিশুদের পোশাক, প্রসাধনী, পুরুষদের পোশাক যেমন- জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ট্রাউজার, জুতো, বেল্ট, ক্যাপ, লুঙ্গি, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা। সেখানকার বেশিরভাগ গ্রাহকেরা বলেছেন, তারা ফুটপাতের স্টলে কেনাকাটা করছেন, কারণ তারা শপিংমলে গিয়ে দামি জিনিসপত্র কিনতে পারেন না। মৌচাক এলাকার ফুটপাথের দোকানের সামনে গৃহকর্মী হালিমা খাতুন বলেন, “আমি যে তিন বাসায় কাজ করি সেখান থেকে বৃহস্পতিবার আমি বোনাস পেয়েছি। তাই আমি এখানে আমার, আমার স্বামী এবং দুই মেয়ের জন্য কিছু কাপড় কিনতে এসেছি। আমি আমার স্বামীর জন্য ৩০০ টাকায় একটি শার্ট ও ৪০০ টাকায় আমার জন্য একটি পোশাক কিনেছি। আমি এখন আমার দুই মেয়ের জন্য পোশাক খুঁজছি।”হালিমা জানান, তিনি ফুটপাতের দোকান থেকে কিছু প্রসাধনী ও জুতাও কিনবেন। তিনি বলেন, “ঈদ উপলক্ষে প্রতিটা জিনিসের দাম একটু বেশি। তারপরও মার্কেটের তুলনায় এখানে জিনিসের দাম অনেক কম। বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল ইসলাম জানান, তিনি রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার অস্থায়ী দোকান থেকে তার বাবার জন্য একটি পাঞ্জাবি, মায়ের জন্য কিছু কাপড় এবং ছোট ভাইয়ের জন্য একটি শার্ট ও জিনস প্যান্ট কিনেছেন।
 
তিনি বলেন, আমার কোম্পানি গত দুই বছর আমাকে বোনাস না দেওয়ায় আমি আমার পরিবারের জন্য কিছু কিনতে পারিনি তখন। এবার বোনাস পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের উপহার কিনছি।” অস্থায়ী দোকানগুলোতে সুলভ মূল্যে ভালো পণ্য পাওয়া যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখান থেকে যা কিনেছি তাতে আমি খুশি, কারণ দাম যুক্তিসঙ্গত। শপিং মল থেকে অতিরিক্ত দামে এই জিনিসগুলো কেনার মতো এত টাকা আমার কাছে নেই। আমি মনে করি ফুটপাতের দোকানগুলো আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। ফুটপাতের দোকানগুলোকে কেউ যেন ছোট করে না দেখে। রিকশাচালক সানাউল্লাহকে নিউমার্কেট এলাকায় রাস্তার পাশের দোকানে তার দুই স্কুলপড়ুয়া ছেলের জন্য শার্ট ও প্যান্ট কিনতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “আমি রবিবার রাতে বাড়ি যাব। আমার দুই ছেলে ঈদের নতুন পোশাক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি খুশি যে আমি এখানে তাদের জন্য আমার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নতুন পোশাক পেয়েছি। ক্রেতাদের বিপুল সমাগম শহরের অস্থায়ী দোকানের মালিক ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শহরের মতিঝিল এলাকার এক বিক্রেতা জানান, এ বছর তার অস্থায়ী দোকানে বিক্রি ও লাভ হওয়ায় তিনি খুশি। তিনি বলেন, “আমি ভালো ব্যবসা করছি, কারণ এ বছর বিক্রির পরিমাণ এবং লাভ আগের বছরের তুলনায় বেশি। রমজানের শুরুতে বেচাকেনা ভালো হয়নি। তবে ১৫ রমজানের পর তা বাড়তে থাকে।” নিউমার্কেট এলাকার আরেক বিক্রেতা সেলিম বলেন, “বিক্রি ভালো হচ্ছে। এমনকি আমাদের কথা বলার সময় নেই। মানুষ এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কেনাকাটা চলবে। মিরপুর-১০ এলাকার ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট ও শার্ট বিক্রয়কারী আবুল কালাম নামক এক বিক্রেতা জানান, এবার তার পণ্য বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিক্রেতা অভিযোগ করেছেন, ফুটপাতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের টোল দিতে হয়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।