দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে গত দুই বছরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিডের প্রকোপ কমে আসায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকা সাপেক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে আবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে সমবেত হতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। দুই বছর পর আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত আয়োজনে জাতীয় ঈদগাহে চলছে জোর প্রস্তুতি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ২৯ এপ্রিল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাহ মাঠে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল করার কাজ প্রায় সমাপ্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্যান্ডেলে শামিয়ানা ও ত্রিপল টানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও জোর গতিতে চলছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৮৪ হাজার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ঈদের জামাত আয়োজনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ। মহিলাদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স। তারা ইতোমধ্যেই প্যান্ডেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি ছাউনি আর ক্যানভাস স্থাপনের কাজ করছে। এছাড়া, জাতীয় ঈদগাহ ও এর আশেপাশে লাউডস্পিকার স্থাপনের কাজও করছে তারা। গরমে মুসল্লিদের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সিলিং ফ্যান ও প্যাডেস্টাল ফ্যান বসানো হবে। এছাড়া, ওজুর ব্যবস্থাসহ মোবাইল টয়লেটও স্থাপন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এ লক্ষ্যে চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে। এবার জাতীয় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া ভালো না থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ