দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলায় ফিরছে লঞ্চ ও সি-ট্রাক। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-ভোলা রুটে ৩৫টি লঞ্চ এবং লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটে ৪টি লঞ্চ ও ৩টি সি ট্রাক চললেও যেন যাত্রীদের চাপ সামলানো যাচ্ছে না। এদিকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চগুলো নিদিষ্ট টাইমে ছাড়ছে না। যাত্রী পূর্ণ হলেই ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে এসব লঞ্চ। ৩০ এপ্রিল সকাল থেকেই দেখা গেছে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ। তবে ভোলা থেকে ঢাকা বা লক্ষ্মীপুরের যাত্রী খুবই কম। কিন্তু ঢাকা ও লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলামুখী যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। যে কারণে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে চলছে এসব লঞ্চ। নৌযানে ধারণক্ষমতার তিন/চার গুন বেশি যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ ও অনিক জানান, প্রতিটি লঞ্চ ও সি ট্রাক অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলায় আসছে। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি নেই। শুক্রবার ছুটির দিন থেকে জেলার বিভিন্ন ঘাটে যাত্রী চাপ আরও বেড়ে যায়। এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গত এক সপ্তাহ ধরেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ঈদের দিন পর্যন্ত এ চাপ থাকবে। জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলার ৫ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় কাজের প্রয়োজনে বসবাস করেন। ঈদের ছুটিতে তারা নাড়ির টানে গ্রামের দিকে চলে আসেন।
এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম নৌপথ থাকায় লঞ্চ ও সি ট্রাক তাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু লঞ্চগুলো ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। চাহিদার তুলনায় লঞ্চ কম থাকায় অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। এতে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ ও সি ট্রাক না থাকায় চরম ভোগান্তি নিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে ছোট ছোট ট্রলারে ফিরছেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। এ বিষয়ে ভোলা নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি। এ ঘাটে কোনো লঞ্চ এখন আর নির্ধারিত সময়ে চলছে না। যাত্রী উঠলেই ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতে লঞ্চ না চলে সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে। ভোলা নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে না পারে সে জন্য অভিযান চলছে। আমরা বিষয়টি লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের বলেছি। এদিকে ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ নৌযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আরও লঞ্চ দেওয়ার দাবি ভোলাবাসীর।
দেশকন্ঠ/অআ