দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে পৃথক চিঠিতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে পাঠানো শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ আমার সঙ্গে আপনার মহামান্যের প্রতি গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা জানাতে এবং আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং আমিরাতের ভাইদের শোক ও দুঃখের এই সংকটময় মুহূর্তে সমবেদনা জানাচ্ছে। শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক, এবং মুসলিম উম্মাহর একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় উন্নয়নে ত্যাগ ইতিহাসে তাকে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের একজন অভিভাবক ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে আরেকটি শোকপত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের কাছে গভীর সমবেদনা এবং আন্তরিক সহানুভুতি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, মহামান্য শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন গতিশীল এবং দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য এবং একে একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বাংলাদেশ-ইউএই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অবদানকে স্বীকার করছি। আল্লাহর যেন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন আন্তরিকভাবে সে দোয়া করছি।’
দেশকন্ঠ/অআ