দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ধূপখোলা মাঠ সম্পূর্ণরূপে মাঠ হিসেবে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনজীবী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, মাঠটিকে মাঠ হিসেবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এখানে যত স্থাপনা আছে এগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ১৪ মে পরিবেশ ও সংস্কৃতি কর্মী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ধূপখোলা মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। রেজওয়ান হাসান বলেন, ঢাকা শহরের মাস্টার প্ল্যান ও হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, মাঠের মধ্যে কোনো স্থাপনা হতে পারবে না। আর ধূপখোলা মাঠের মতো এরকম ঐতিহ্যবাহী মাঠ নেই। যে কোনো নির্মাণ কাজ করতে গেলে ওখানে একটা সাইনবোর্ড দিয়ে জনগণকে জানাতে হবে এই নির্মাণ কাজ কে করছে, অর্থায়ন কে করছে, ইঞ্জিনিয়ার কে, অনুমোদনের তারিখ কবে। এখানে এরকম কোনো সাইনবোর্ড আমরা দেখতে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ খেলার মাঠ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সিটি করপোরেশন। আর সিটি করপোরেশন যদি আইন ভঙ্গ ও হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে মাঠের মধ্যে স্থাপনা করে তাহলে জনগণ যাবে কোথায়। এখানে ‘রক্ষকই ভক্ষক’ এই উদাহরণ সৃষ্টি করছে সিটি করপোরেশন। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সহ-সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুসারে মাঠে কোনো স্থাপনা করার সুযোগ নেই। এই আইনে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধূপখোলা মাঠে যে সব অবৈধ নির্মাণ কাজ রয়েছে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। আর এই কাজটি করতে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, দেশের আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো মাঠে স্থাপনা তৈরি করা যায় না। খেলার মাঠ খেলার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। ধূপখোলা মাঠ ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এখানে খেলাধুলা করেন। তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়ক শাকিল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিল্টন, পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দীন, ক্যামেলিয়াসহ অন্যান্য নেতারা।
দেশকন্ঠ/অআ