• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৩৬

ধূপখোলা মাঠ সম্পূর্ণরূপে মাঠ হিসেবে ছেড়ে দিতে হবে

  • জাতীয়       
  • ১৫ মে, ২০২২       
  • ১৭২
  •       
  • ১৫-০৫-২০২২, ১২:৫৭:৪৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ধূপখোলা মাঠ সম্পূর্ণরূপে মাঠ হিসেবে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনজীবী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, মাঠটিকে মাঠ হিসেবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এখানে যত স্থাপনা আছে এগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ১৪ মে পরিবেশ ও সংস্কৃতি কর্মী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ধূপখোলা মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। রেজওয়ান হাসান বলেন, ঢাকা শহরের মাস্টার প্ল্যান ও হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, মাঠের মধ্যে কোনো স্থাপনা হতে পারবে না। আর ধূপখোলা মাঠের মতো এরকম ঐতিহ্যবাহী মাঠ নেই। যে কোনো নির্মাণ কাজ করতে গেলে ওখানে একটা সাইনবোর্ড দিয়ে জনগণকে জানাতে হবে এই নির্মাণ কাজ কে করছে, অর্থায়ন কে করছে, ইঞ্জিনিয়ার কে, অনুমোদনের তারিখ কবে। এখানে এরকম কোনো সাইনবোর্ড আমরা দেখতে পাইনি।
 
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ খেলার মাঠ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সিটি করপোরেশন। আর সিটি করপোরেশন যদি আইন ভঙ্গ ও হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে মাঠের মধ্যে স্থাপনা করে তাহলে জনগণ যাবে কোথায়। এখানে ‘রক্ষকই ভক্ষক’ এই উদাহরণ সৃষ্টি করছে সিটি করপোরেশন। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সহ-সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুসারে মাঠে কোনো স্থাপনা করার সুযোগ নেই। এই আইনে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধূপখোলা মাঠে যে সব অবৈধ নির্মাণ কাজ রয়েছে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। আর এই কাজটি করতে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
 
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, দেশের আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো মাঠে স্থাপনা তৈরি করা যায় না। খেলার মাঠ খেলার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। ধূপখোলা মাঠ ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এখানে খেলাধুলা করেন। তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়ক শাকিল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিল্টন, পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দীন, ক্যামেলিয়াসহ অন্যান্য নেতারা।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।