দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সয়াবিনের তেলের ঘাটতি পূরণে সরকার বিকল্প হিসেবে সরিষা ও রাইস ব্র্যান থেকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, “দেশে এখন রাইস ব্র্যান ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন উৎপাদন হয়। এটিকে সাত লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটি করতে পারলে মোট চাহিদার ২৫% পূরণ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্র্যান ভালো। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।” ১৮ মে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের বার্ষিক চাহিদার ৯০ ভাগ ভোজ্যতেল আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করতে হয়। পাম তেল ও সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় জোগানের রাইস ব্রান ও সরিষার তেল উৎপাদন বাড়ানো যায় কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” তেলের দাম প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ছে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোজ্য তেলের বাজারে সমস্যা হবে না। এটা বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আছে। গত ৫ মে তেলের যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল, তখন ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, সাপ্লাই ঠিক আছে। কিন্তু মাঝখানে সেটা ঠিক ছিল না, তবে এখন সাপ্লাই ঠিক হয়ে গেছে।” নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য ১৯৮ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা। খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, “ভারত বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করেনি। জি টু জি বন্ধ হয়নি। শতভাগ গম আমদানি করা যাবে। তাদের এক্সপোর্ট বন্ধ করা কোনোভাবেই আমাদের ওপর প্রভাব পড়বে না, এটা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা এটা বলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বৈঠকে বাণিজ্য সচিব, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/রাসু