দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নগর পিতা হতে লড়বেন ছয় মেয়র প্রার্থী। এর মধ্যে আলোচনা চলছে কে কত সম্পদের মালিক। সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাককু তার হলফনামায় নগদ কোটি টাকার বেশি উল্লেখ্য করলেও, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কোনো নগদ টাকা-ই নেই। এ ছাড়া সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারসহ ৩ জন প্রার্থীর গাড়ি নেই।
হলফনামায় সাককু উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। নিজের ও স্ত্রীর মোট দুইটি গাড়ি রয়েছে। তার পেশা ঠিকাদারি। তবে মেয়র থাকাকালে তিনি ঠিকাদারি কাজ করেননি বলে উল্লেখ করেন। নগদ টাকা আছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকা। ব্যাংকে আছে দুই লাখ ৯৪ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে নিজের ১০ তোলা, স্ত্রীর ১০ তোলা। দুদক ও আয়কর বিভাগের দুই মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
রিফাত উল্লেখ্য করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। নিজের দুইটি গাড়ি রয়েছে। পেশা ঠিকাদারি। নগদ টাকা নেই। ব্যাংকে আছে ৬১ লাখ ২ হাজার ৪৯৫ টাকা। পোস্টাল সেভিংসে আছে ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৪ টাকা। স্বর্ণ নিজের ২০ ভরি, স্ত্রীর রয়েছে ৩০ ভরি। কোনো মামলা চলমান নেই।
আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস। নিজের ও স্ত্রীর মোট দুইটি গাড়ি রয়েছে। তার পেশা ঠিকাদারি। নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা। ব্যাংকে আছে তিন লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ টাকা। স্বর্ণ নিজের ২৫ তোলা, স্ত্রীর রয়েছে ৫০ তোলা। তার নামে ফৌজদারি দুইটি মামলা বিচারাধীন।
কায়সার উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। গাড়ি নেই। পেশা ব্যবসা। নগদ টাকা আছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫টাকা। ব্যাংকে আছে তিন লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা। স্বর্ণ নিজের ২০ তোলা, স্ত্রীর আছে ২০ ভরি। তার আটটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। তার গাড়ি নেই, পেশা ব্যবসা। নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ২০ হাজার, পাশে লেখা ব্যবসার পুঁজি। ব্যাংকে আছে ৫ হাজার টাকা। স্বর্ণ বিয়ের উপহার ৩০ ভরি। তার দুইটি মামলা বিচারাধীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল। যা এমএ সমমান। তার গাড়ি নেই। তিনি পেশায় কলেজ শিক্ষক। নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার। ব্যাংকে আছে দুই লাখ ৪২৮ টাকা। স্ত্রীর স্বর্ণ আছে ২ ভরি। তার নামে কোনো মামলা নেই।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন ইভিএমের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। এ নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে ৬৪০টি ভোটকক্ষ থাকবে। সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার। নির্বাচনকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছে বিজিবি। গত ১৫ মে দুপুর থেকে নগরীতে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই প্লাটুনের নেতৃত্বে থাকছেন।
দেশকন্ঠ/অআ