• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩২

পদ্মাপাড়ে হচ্ছে তাঁতপল্লী কর্মসংস্থানের আশায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা

  • জাতীয়       
  • ২০ মে, ২০২২       
  • ৮২
  •       
  • ২০-০৫-২০২২, ১১:২৬:৪৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডেবায় স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী। এ প্রকল্প ঘিরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। পদ্মা সেতু এলাকায় এ তাঁতপল্লীর প্রথম পর্যায়ে মাটি ভরাট ও সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ হচ্ছে ৩০ জুনের মধ্যে। এ শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অন্তত ১০ লাখ মানুষের। এমন খবরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। কর্মসংস্থানের স্বপ্ন বুনছেন তারা। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, তাঁত শিল্পের উন্নয়নে পদ্মাপাড়ে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লী স্থাপন করছে সরকার। এর নাম রাখা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী’। এক হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর প্রান্তের রেলস্টেশনের কাছাকাছি নির্মাণ হচ্ছে এ তাঁতপল্লী। যাতে করে এখানকার তাঁতিরা কাঁচামাল সংগ্রহ ও উৎপাদিত পণ্য সহজে আনা-নেওয়া করতে পারেন। শরীয়তপুর জেলার জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের নাওডোবা মৌজায় ৫৯ দশমিক ৭৩ একর ও মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর মৌজায় ৬০ একর করে মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে এ তাঁতপল্লী হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় তাঁত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি কর্মরত তাঁতিদের জন্য থাকছে আবাসন ব্যবস্থাও। তাঁতিদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তাঁতবস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড নির্মাণ হবে। যেখানে ৮ হাজার ৬৪ তাঁতিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪ দশমিক ৩১ কোটি মিটার কাপড়।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা হয় তাঁতশিল্প নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। এমন উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে উচ্ছ্বসিত তারাও। নাওডোবা ইউনিয়নের বাসিন্দা দুদু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা তাঁত শিল্পের পাশেই আমাদের বাড়ি। তাঁত পল্লী চালু হলে এখানে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ব্যবসায়ী চুন্নু আকন বলেন, পদ্মাপাড় প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় আগে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে এলাকার উন্নয়নের চিত্র। এখানে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লী। এখনই পদ্মা সেতু দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করছেন আমাদের এলাকায়। তাঁতপল্লী নির্মাণ শেষ হলে সব সময় আমাদের এ এলাকাটি জমজমাট থাকবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এখানকার হাজার হাজার মানুষের। শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার চিনময় সরদার বাপ্পি বলেন, এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মাটি ভরাট ও সীমানা প্রাচীরের কাজ ৩০ জুন শেষ হবে। আমরা গুণগতমান ঠিক রেখেই কাজ শেষ করতে পারবো। পরে জুলাইতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে আশা রাখি। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াস। এর ফলে উন্নত হবে দেশের তাঁত শিল্প। স্থানীয়দের পাশাপাশি জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে তাঁতিদের। শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুলসংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থান হবে। দেশের তাঁত বস্ত্রের উৎপাদনও বাড়বে কয়েক গুণ।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।