• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:২৯
শ্রমিক মজুরি বেশি-উৎপাদন হ্রাস

ধানে একর প্রতি ক্ষতি ১৫ হাজার

মাহফুজুর রহমান সোহাগ : এক একর (১০০ শতাংশ) জমিতে বোরো আবাদে নিজের জমিতে কমপক্ষে ৫ হাজার বা তারও বেশি ও বর্গা বা মেদি জমিতে ক্ষেত্র বিশেষ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। এতে তারা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ধানের উৎপাদন হ্রাস, শ্রমিক সংকট,  শ্রমিকের মজুরি বেশি এবং ধানের দাম কম থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকরা হতাশা ও বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছেন।
 
উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৭৫৬ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৫০ হাজার টন। ইতিমধ্যে উপজেলাজুড়ে পুরো দমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি বছর ফলন কম ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এক একর জমিতে আগে যেখানে ৮০ থেকে ১২০ মণ ধান হতো এবার তা ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মণ ধান হচ্ছে। বর্তমানে এক মণ ধানের দাম ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। সে হিসেবে এক একর জমির ৬০ মণ ধান ৭৫০ টাকা বিক্রি করলে ৪৫ হাজার টাকা। খরচের হিসেব করলে দেখা যায়,  নিজের জমি হলে এক একর জমি প্রস্তুত করতে ৪ হাজার, বীজ ও বীজতলা ৪ হাজার, ধানের চারা রোপন ৬ হাজার টাকা, সার ও কীটনাশক ৬ হাজার, সেচ দেওয়া ৫ হাজার, জমি নিরানী ২ হাজার, ধান কাটতে ১২ থেকে ১৫ হাজার, মাড়াই করতে ২ হাজার, এরপর ধান বাজারে বিক্রি ২ হাজার টাকা। এ হিসেবে এখানে কমপক্ষে কৃষকের ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান। আর যদি জমি বর্গা বা মেদি নেওয়া হয় তাহলে আরো ১৫ হাজার টাকা যোগ হয়।
 
শিমুল তলা গ্রামের মো. জুয়েল মিয়া(৪৮) বলেন, আমি ১৮ (৯০ শতাংশ) কাঠা জমি ১৬ হাজার টাকায় মেদি নিয়ে বোরো আবাদ করে ২০ হাজার টাকা লোকসানে আছি। তাছাড়া চক যোগানিয়া ইউনিয়নের আমিরুল ইসলাম (৪৩) বলেন, এবার ধানে শিল পড়া ও ধানে চিটা ধরা, উৎপাদন কম, কামলার দাম বেশি থাকায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সারা বছরের পরিশ্রমের একমাত্র সম্বল এ ধান। ধান আবাদে এখন যে খরচ তাতে কিন্তু ধানের দাম যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমরা কীভাবে বাঁচবো। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমরা যেন ধানের ন্যায্য দাম পাই।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন,  কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ না করে পুরনো জাতের ধান আবাদ করায় ধানে পোকার আক্রমনে ফলন কমেছে। যে সমস্ত কৃষক জমি বর্গা বা মেদি নিয়ে আবাদ করেছেন তারা কিছুটা লোকসানের মধ্যে থাকবে।
উৎস : দৈনিক আনন্দবাজার
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।