দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে চলাচলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার অত্যাধুনিক রেলকোচটি (ট্রেন) অবিলম্বে আবার চালু করার দাবি জানিয়েছে খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম (কেডিজেএফ), ঢাকা। ২৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম (কেডিজেএফ), ঢাকার নির্বাহী কমিটির সভায় এই দাবি জানানো হয়। কেডিজেএফ-ঢাকার সভাপতি রাহুল রাহার সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী। ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি বিলাসবহুল ওই ট্রেনটি সরিয়ে এর পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত কম যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ট্রেন অতি গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে সংযোজনের কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। ঢাকায় কর্মরত খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা নিয়ে গঠিত সাংবাদিকদের সংগঠনটির সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, বেনাপোলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার উন্নত রেল যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে ট্রেনটি উত্তরবঙ্গে সরিয়ে নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের গুরুত্বকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অদূরদর্শী কর্মকাণ্ড বৃহত্তর যশোরবাসীসহ এই পথের অগণিত রেলযাত্রীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, ভারতে যাতায়াতকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের ৭৫ শতাংশই নিয়মিত বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ভারত দীর্ঘ দুই বছর পর বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটন ভিসা চালু করেছে। ফলে ভারতে যাতায়াতকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ও সেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই পথে আরও একাধিক বিলাসবহুল ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি জানান বক্তারা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কাজী আব্দুল হান্নান, মধুসূদন মন্ডল, শ্যামল সরকার, আশীষ কুমার দে, হারুন জামিল, ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাব্বির নেওয়াজ, আইয়ুব আনসারী, আশরাফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সুনীতি কুমার বিশ্বাস, সাজেদা পারভীন সাজু রহমান, শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, অজিত কুমার মহলদার, আব্দুল্লাহ মুয়াজ, নাদিয়া শারমিন, তানভীর আহমেদ, এসএম মোস্তাফিজুর রহমান সুমন প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/অআ