দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংগঠনসমূহ। ২৫ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) আয়োজিত ‘পাবলিক প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ফর রিইন্টিগ্রেশন ইন বাংলাদেশ (পিপিপি)’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রথম পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিশ্রুতিপত্র সই হয়। এতে ৪২টিরও বেশি সংগঠন সই করে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার প্রথম কাজ ছিল সব অংশীজনদের একসঙ্গে নিয়ে আসা। হয়তো এই কারণেই আজ আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা অভিবাসী কর্মীদের জন্য কিছু একটা করতে পারবো।’ এ সময় মন্ত্রী বিদেশ থেকে আগত অভিবাসীদের কল্যাণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক যৌথ প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সহযোগী সংস্থা ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রি-ইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক (ইআরআরআইএন) ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা আইসিএমপিডি এবং দাতা সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ধন্যবাদ জানান।
আইসিএমপিডির সিল্ক রুট রিজিওনের প্রধান সেডেফ ডিয়ারিং বলেন, ‘বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা ফেরত আসছে। করোনার কারণে এমনটি হয়েছে। এখন ফিরে আসার হার কমেছে। তবে অনেক অভিবাসী কর্মী কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের প্রথম প্রত্যাশাই হচ্ছে অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরণ।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, ইআরআরআইএনর প্রজেক্ট ম্যানেজার মারিয়ান উলব্রিচট ও আইসিএমপিডি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন (অব.) ইকরাম হোসেন প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/অআ