• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৮:২৪

শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়তে সরকারের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পায়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা জাতীয় কল্যাণে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক শক্তির ভারসাম্য বিকাশ একান্ত অপরিহার্য । তাই দেশের স্বার্থে দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তর জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে একান্তভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পায়নের ভূমিকা অপরিসীম। এ কথা সত্য যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প খাত এখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি কিন্তু নিরন্তর সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২৯ মে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার-২০২০ এর ট্রফি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি প্রধান অতিথি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাই দেশের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলে এ অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কথা জোরালোভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। বর্ধিত উৎপাদনশীলতা দেশের দারিদ্র বিমোচন, স্বনির্ভর অর্থনীতি এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের অন্যতম উপায়। তাই দ্রুত শিল্পায়ন তথা জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জাতীয় সমঝোতা ও প্রতিশ্রুতি আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের জন্য জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) রাজধানীর সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ৫  ক্যাটাগরির ২৬ প্রতিষ্ঠানকে  'ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০' এবং একটি ব্যবসায়ী সংগঠনকে 'ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-২০২০' প্রদান করা হয়। বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে খাদ্যশিল্প খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে কোকাকোলার বাজারজাতকারী কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস। দ্বিতীয় হয়েছে প্রাণ গ্রুপের হবিগঞ্জ এগ্রো। একই ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স প্রথম, শেলটেক দ্বিতীয় ও রানার অটোমোবাইলস তৃতীয় হয়েছে। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে প্রথম হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। দ্বিতীয় অবস্থানে এম এম ইস্পাহানির পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস। তৃতীয় হয়েছে করণী নিট কম্পোজিট।
 
বৃহৎ শিল্পের সেবা খাতে নিটল ইন্স্যুরেন্স প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে মীর টেলিকম। তৃতীয় ডিজিকন টেকনোলজিস। আইটি খাতে একমাত্র সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। কেমিক্যাল খাতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস প্রথম, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) দ্বিতীয় আর স্কয়ার টয়লেট্রিজ তৃতীয় পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছে। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরির ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে প্রথম হয়েছে প্রাণ গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান সিলভান টেকনোলোজিস। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে প্রথম পুরস্কার মাসকোটেক্সকে প্রদান করা হয়েছে। এই খাতে ইনডেক্স এক্সেসরিজ দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। আইটি খাতে একমাত্র মিলেনিয়াম ইনফরমেশন সল্যুশনক পুরস্কার পেয়েছে। কেমিক্যাল খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে বিআরবি পলিমার। আর দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে জিএমই এগ্রো। ক্ষুদ্রশিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস। তোহফা এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে জারমার্টজ। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে সুপার স্টার ইলেকট্রনিক্স পুরস্কার পেয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্টার্ন টিউবসকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।