দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তিনি ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন। রিফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট। ১৫ জুন রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ ফল ঘোষণা করেন। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাককুর থেকে ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করেছেন আরফানুল হক রিফাত।
এর আগে, সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে, ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন। এবার নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে মূল লড়াইটা হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাককু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারের মধ্যে। সাককু গত দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে কুসিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইভিএমে ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। মেশিনে ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া; লাইন জমিয়ে ভোটে বিলম্ব সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ ছিল ভোটারদের। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, ভোট দিতে ভোটারদের কোনো অসুবিধা হয়নি। সমস্যাটা করেছেন বাইরে থেকে যারা ভোটার স্লিপ দিচ্ছেন, তারা। তারা ভোটারদের সঠিক তথ্য দেননি। এ কারণেই ভোটারদের ভোগান্তি হয়। ইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ভোটকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এ কমিশন।
দেশকন্ঠ/অআ