দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৯ জুন সকালে বড়লেখা পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের আদিত্যের মহল এলাকা থেকে শিশু সুমাইয়া আক্তার (৯)-এর মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। সে ওই এলাকার শাহাব উদ্দিনের মেয়ে। ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাদ চা-বাগানে টিলা ধসে রাজন ব্যানার্জি (৬০) মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, আদিত্যের মহাল এলাকায় শনিবার ঢলের পানিতে পড়ে তলিয়ে যাওয়া শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৯) মরদেহ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা পৌরসভার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানি উঠেছে। এতে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার শহর থেকে পানি নেমে গেলেও পৌরসভার নিচু এলাকা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের প্রায় সব কটি দোকানে পানি উঠে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ২০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে। এ ছাড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। পানিতে চান্দগ্রাম-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আয়েশাবাগ চা-বাগানে শনিবার সকালে টিলা ধসে এক নারীর মত্যু হয়েছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছেন। টিলার পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন, তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, বড়লেখায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও টিলা ধস প্রতিরোধে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ