দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় অবিরাম বর্ষণে মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মেরুংয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক বসতঘরে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। পানি বাড়তে থাকায় স্থানীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত ২ দিনে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনি নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে মেরুং ইউপির চিটাগাংপাড়াসহ অন্তত ৫০টি বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে। বসতঘরে থাকা লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন নিকটস্থ আত্নীয়-স্বজনের বাসায়। পানির নিচে তলিয়ে গেছে মৌসুমী শাকসবজি ও বীজতলা। দীঘিনালা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক জানান, ভারী বর্ষণে মেরুংয়ের আউশ মৌসুমের ১৮ হেক্টর জমির বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন ৪০ হেক্টর জমির সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
দেখা যায় দীঘিনালা ও লংগদু সড়কের মেরুং স্টিলের সেতু পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে দীঘিনালা উপজেলা ও লংগদু উপজেলা সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মেরুং চিটাগাং পাড়াসহ অন্তত ৫০টি বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে। মেরুং পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বাজারের কিছু অংশে পানি প্রবেশ করেছে। পানি বাড়তে থাকায় মেরুং বাজার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সঙ্কা তৈরি হয়েছে। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী জানান, মেরুং ইউপিতে গতকাল ১৮ জুন দুপুরে মাইকিং করে নদীর তীরবর্তী ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্ধারণ করে রেখেছি।
পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সেখানে ওঠার জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো রশিকনগর দাখিল মাদ্রাসা, রশিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আর এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার মেরুংয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া পানি বাড়তে থাকলে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের জন্য উপজেলা প্রশাসন শুকনো খাবারসহ যাবতীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করে রেখেছে।
দেশকন্ঠ/অআ