দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ৩০০ কেজি ওজনের একটি স্টিংরে মাছ ধরেছেন। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ এটি। নদীর পানি থেকে মাছটি তীরে টেনে এনেছেন প্রায় এক ডজন মানুষ। মাছটি ‘ক্রিস্টেনড বোরামি’ নামেও পরিচিত। খেমার ভাষায় এর অর্থ ‘পূর্ণ চন্দ্র।’ প্রায় ৪ মিটার (১৩ ফুট) দীর্ঘ মাছটির শরীরে একটি ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ লাগানোর পর পুনরায় সেটি পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ট্যাগের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মাছটির গতিবিধি এবং আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের ‘মনস্টার ফিশ’ অনুষ্ঠানের সাবেক সহ-উপস্থাপক ও জীববিজ্ঞানী জেব হোগান বলেছেন, এটি বেশ চমকপ্রদ সংবাদ। কারণ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছ। মেকং নদীতে মাছ সংরক্ষণের একটি প্রকল্পে কাজ করছেন জেব হোগান। তিনি বলেন, এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ খবর। কারণ এর অর্থ মেকং নদীর এই এলাকা এখনও জীববৈচিত্র্যের জন্য স্বাস্থ্যকর। এটি একটি আশার লক্ষণ যে, এই বিশাল মাছ এখনও নদীটিতে বাস করছে। এর আগে, কম্বোডিয়ার উত্তরাঞ্চলের কোহ প্রিহ দ্বীপের কাছে জেলেদের জালে অন্য একটি স্টিংরে ধরা পড়ে। দৈত্যাকার সেই মাছটির ওজন ছিল ২৯৩ কেজি। এই মাছটিই ২০০৫ সালে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের উজানে ধরা পড়েছিল। মেকংয়ের নদী কমিশন তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের তৃতীয়-সর্বোচ্চ বৈচিত্র্যময় মাছের আবাস মেকং নদী। তবে অতিরিক্ত মাছ শিকার, দূষণ, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ এবং পলি মাটির ক্ষয়ের কারণে এই নদীর মাছের সংখ্যা কমে গেছে। স্টিংরে বিশ্বের বিপন্ন প্রজাতির একটি মাছ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে মাঝেই মাঝেই এই মাছটি ধরা পড়ে।
দেশকন্ঠ/অআ