দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বৃষ্টি ও বন্যায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে আউশ ও আমনের জমি। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। তাছাড়া বন্যায় কবলিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি ক্ষেতও। এভাবে বন্যার পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে আরো জমি তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও বন্যা কবলিত জেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলোর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এদিকে, জেলার ৩ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে পুরো জেলাই বন্যা কবলিত । পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, সিরেটের নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। যে কারণে বাঁধ রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা মাটি দেয়া হয়েছে। খোয়াই নদীতে একদিনে তিন মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীতে প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বাড়লে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাবে।
হবিগঞ্জ জেলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানান, বৃষ্টি ও বন্যায় জেলার ১৩ হাজার হেক্টর বোনা আমন ও ২ হাজার হেক্টর আউশ ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় কবলিত হয়ে ৪শ হেক্টর সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
দেশকন্ঠ/রাসু