• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৩ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৩৫

এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ে ব্যয় হবে ৭১৭ কোটি টাকা

  • জাতীয়       
  • ২৩ জুন, ২০২২       
  • ৮৯
  •       
  • ২৩-০৬-২০২২, ১০:৪৪:৪১

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : টোল আদায়ের পাশাপাশি আগামী ৫ বছর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারকে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। টোল আদায়ের জন্য কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (কোইকা) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ এর চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে, প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়ে হিসাবে নির্মাণকাজ এ মাসেই শেষ হবে। সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ ৪-লেনে উন্নয়ন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প’ এর আওতায় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনা মহাসড়ক’ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, এতে ৩টি সেতু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-৮৪৭.৩২ মিটার দীর্ঘ বুড়িগঙ্গা সেতু (চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু), ৮৫৩.২০ মিটার দীর্ঘ ১ম ও ২য় ধলেশ্বরী সেতু এবং ৪৫০.০০ মিটার দীর্ঘ আড়িয়ালখাঁ সেতু। এই তিনটি সেতুতে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে।
 
সূত্র জানায়, আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এরপর এই সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। একই করিডোরে অবস্থিত পদ্মা সেতুতে ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপনসহ অত্যাধুনিক টোল অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।  সে প্রেক্ষিতে সড়ক সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক্সপ্রেওয়েতে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন এজেন্সি (কেইসি) এর মাধ্যমে ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপন করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা দেশে এটাই প্রথম। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ ৪-লেনে উন্নয়ন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প’ এর আওতায় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেড এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে (পদ্মা সেতু ছাড়া) টোল আদায়ের জন্য অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড টোল প্লাজা নির্মাণ হচ্ছে।
 
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে টোল আদায়ের জন্য কেইসিকে নিয়োগের বিষয়টি ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক অবহিত করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় একই বছর ২২ ডিসেম্বর লেটার অব ইনভাইটেশন (এলওআই) এর মাধ্যমে কেইসি এর অনুকূলে টেন্ডার ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়। সার্ভিস প্রোভাইডার কেইসি প্রস্তাব মূল্যায়নের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) অনুমোদিত হয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর প্রিপ্রপোজাল সভা হয়। সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে সীমার মধ্যে কেইসি কর্তৃক প্রস্তাব দাখিল করা হয়। এতে একটি কারিগরি ও একটি আর্থিক ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। এরপর প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) কর্তৃক কেইসির দাখিল করা প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়। কেইসি তাদের আর্থিক প্রস্তাবে দুজন সাব-কন্ট্রাকটর, এস-ট্রাফিক কোং লিমিটেড এবং টেলি টেল কমিউনিকেশনস কে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পেশ করে। মূল্যায়ন কমিটি  প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কেইসির সঙ্গে ২টি সাব-কন্ট্রাকটর নিয়োগের সুপারিশ করে। কর ও ভ্যাট সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আলোচনা সাপেক্ষে নিধারণ করে টোল আদায়ে জন্য ৫ বছর মেয়াদে সর্বমোট ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব সম্প্রতি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
সূত্র জানায়, ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা (এন-৮)’ এক্সপ্রেসওয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো বিশেষ করে ফরিদপুর, বরিশাল ও খুলনা এলাকার এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন এবং নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে, যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পরিবর্তন বয়ে আনবে। সূত্র জানায়, ইন্টিলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম একটি টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাপনায় রিয়েল-টাইম, ট্রাফিক এবং ভ্রমণের তথ্য নিয়ন্ত্রিত থাকে। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বিধায় এতে যানজট কমে যাবে। পণ্য ও মালবাহী যানবাহনের দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে। জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন  (কেইসি) দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান।  প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে (হাইওয়ে সড়ক) রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। কেইসি এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও ৪৫০৮টি সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ১৩৩২ কিলোমিটার। প্রতিষ্ঠানটি অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আটিএস) এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি সিস্টেম (আইটিএস) অনুসরণ করছে। টোল আদায়ে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসিএস) ব্যবহার করছে। কেইসি এ বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিধায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে এই কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য কেইসি সেবা দেবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।