দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্রত্যেক বছরই যোগ দিবসের একটা থিম থাকে । ২০২২ সালের যোগ দিবসের থিম ছিল 'যোগা ফর হিউম্যানিটি' ; মানবতার জন্য যোগা। সেইকে সামনে রেখে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়েছে পৃথিবীর দেশে দেশে।
বাংলাদেশের যথাযোগ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়েছে। ওই দিন ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রায় ১ হাজার জন মিলে যোগব্যায়াম করে ৮ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের বিভিন্ন যোগ অ্যাসোসিয়েশন এবং ইনস্টিটিউট, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, গায়কসহ বেশ কিছু সেলিব্রিটি। এবারের আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। আয়োজনে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) বিশেষজ্ঞরা এবং ছাত্ররা কমন যোগ প্রোটোকল এবং যোগাসন প্রদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা এবং ইনস্টিটিউট বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মানুষের জীবনে যোগাভ্যাসের কতটা প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয় । প্রত্যেক বছরই যোগ দিবসের একটা থিম থাকে । এ বছর আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে যোগব্যায়ামের অনুশীলনের গুরুত্ব কতটা, সেই বিষয়ে আলোচনা করাই এবারের থিমের লক্ষ্য ।
ভারতেই প্রথম যোগচর্চা শুরু হয়েছিল । তার উল্লেখও পাওয়া যায় ঋক বেদের মতো প্রাচীন পৌরাণিক বইগুলোতে । শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে যোগব্যায়ামের কার্যকারিতা অনেক । তাই প্রত্যেক মানুষের যোগব্যায়াম করা প্রয়োজন । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী UNGA-তে বক্তৃতার সময় প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ধারণাটি উপস্থাপন করেছিলেন । এরপর ২০১৪ সালে ২১ জুন তারিখকে UNGA আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে।
মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে সচেতনতা বিস্তারের আলোকে যোগ দিবসের তাৎপর্য দেখা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের লক্ষ্য মানসিক শান্তি এবং আত্ম-সচেতনতার জন্য ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তোলা যা একটি চাপমুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। নিজেকে সুস্থ থাকতে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যয় করুন। নিয়মিত যোগা করুন। যোগা দূর করবে শরীরের সকল জটিলতা।
দেশকণ্ঠ/আসো