দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীর আশপাশের মানুষ স্লোগান ও ঢাক- ঢোল বাজিয়ে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের প্রবেশ মুখে জড়ো হচ্ছেন। নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে আসছে সাধারণ মানুষ। এযেন এক মিলন মেলা। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক সাজানো হয়েছে নানা রংএর ফেস্টুন, পতাকা দিয়ে। ২৫ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের প্রবেশ মুখ ধোলাইপাড় মোড়ে স্বরজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে দলে দলে লোকজন নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে সমবেত হচ্ছেন ধোলাইপাড় মোড়ে। সবার মুখে মুখে আনন্দের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। একদল মানুষকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে ধোলায় পাড়ে আসতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নানা স্লোগানে মুখরিত ধোলাইপাড়। মহাসড়কের দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অংশিদার হতে। হাত নাড়িয়ে, হাসিমুখে ভি চিহ্ন দেখিয়ে, সেলফিতুলে, ভিডিও করে এবং কেউ কেউ ফেসবুকে লাইফ করে এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রশিদ বলেন, ৭১ বিজয় এনেছি। আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সক্ষমতার বিজয় এনেদিয়েছেন। এতো দিন যে সকল দেশ আমাদেরকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতেন। তাদের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু সমুচিত জবাব। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে আর ১০ বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে আমরা আশা করছি চাঁদেও বাংলাদেশের পদচিহ্ন পড়বে। শ্যামপুর থানার কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুজ্জামান বাবুল বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন বাংলাদেশের জন্য আর একটি বিজয়। জন নেত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয় এনে দিয়েছেন। এজন্য তিনি সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে থাকবেন। কারণ মোড়ল দেশগুলোর রক্তচক্ষু ও দেশের ভেতরের ও বাইরের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের পড়ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে সবাইকে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা বীবের জাতি কার কাছে মাথা নোয়বার নয়। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ নিয়ে গর্ববোধ করি। এটা আমাদের অহংকার।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসীমা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অংশ হতে এখানে এসেছি। ভোর থেকে সকল কাজ ছেড়ে ৮ টায় এখানে চলে এসেছি। এই সেতু আমাদের দীর্ঘ দিনের চাওয়া। আমাদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। গার্মেন্ট কর্মী আয়শা জানান, এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আজ ছুটি নিয়েছি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর আমরা আনন্দ মিছিল করবো। সারা দিন নেচে গেয়ে বেড়াব। ধোলাইপাড়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সজিব বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছি। সকালেই চলে আসলাম। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা বহুমুখী সেতু। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার ঘাটে আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাক্ষী হতে জনসভাস্থলে এসেছেন দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মানুষ।
দেশকন্ঠ/অআ