দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আজ ২৫ জুন সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। যে দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিল গোটা জাতি। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। অবশেষে তাদের অপেক্ষার দিন শেষ হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলকে ঢাকা তথা গোটা দেশের সঙ্গে সংযুক্তকারী দেশের সব চেয়ে বড় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ২৫ জুন সকাল ১০টায় এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেতু উদ্বোধন ঘিরে সাজানো হয়েছে চারদিক। ঢাকা থেকেই উৎসবের আমেজ। ধোলাইপাড়ে সকাল থেকেই জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। উৎসবের এ দিনটি রাঙাতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অভিমুখের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো মহাসড়ক।
সেতু উদ্বোধন ঘিরে এ মহাসড়কের তিনটি সেতুতে টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এ সড়কে এক দিনের জন্য জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে অতিথিরা দ্রুতই মাওয়ায় যেতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচন শেষে দোয়া-মোনাজাত এবং সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি টোল দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ওপারে জাজিরা প্রান্তে পোঁছাবেন। সেখানেও সেতুর ফলক উন্মোচন শেষে দোয়া-মোনাজাত এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
স্বপ্নের দুয়ার খুলেছে, তাই ওপারেও সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন হাজারো মানুষ। এদিন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে উৎসুক জনতার ঢল দেখা গেছে। প্রসঙ্গত, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ সেতুর দৈঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক এবং রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ থেকে শুরু করে নানা কারণে ব্যাপক আলোচিত এ সেতু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে আজ বাস্তবায়ন হলো।
দেশকন্ঠ/অআ