• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৭

পদ্মাসেতু: বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের মাছ ব্যবসায়ীরা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : উপকূলের অন্যতম একটি জেলার নাম বরগুনা। এর চারদিক নদীবেষ্টিত। বরগুনা সমুদ্র উপকূলের জেলা হওয়ায় এখানকার অধিকাংশ মানুষের পেশা জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী। তাই এরা মৎস্যশিল্পকে কেন্দ্র করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ মৎস্য ও কৃষি কাজের উপর নির্ভর। তবে এ জেলায় যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় জেলেরা তাদের মাছের সঠিক দাম পান না। তবে পদ্মাসেতু চালু হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন আড়তদার ও পাইকাররা।
 
আড়তদাররা জানিয়েছেন, তাদের আড়ত থেকে এখন এক চালান মাছ ঢাকায় বিক্রি করতে মৎস্য পাইকারদের দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে যায়। আর স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালু হলে তারা সকালে মাছ কিনে বিকেলে ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এতে মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের সেই মাছের ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশা করছেন। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকার আলম মিয়া জানান, বর্তমানে ঢাকার চাহিদা দেখে মাছ কেনেন তারা। তবে কেনা মাছ নিয়ে তাদের পদ্মা পাড়ি দিতে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেক সময় পদ্মা পাড়ি দিতে এক থেকে দু’দিনও চলে যায়। এতে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হয় বারবার।
 
তবে পদ্মাসেতু চালু হলে সকালে মাছের চাহিদা বুঝে বিকেলের মধ্যে সে মাছ ঢাকায় বিক্রি করা যাবে। এতে দাম নিয়ে বেশি দরকষাকষি করতে হবে না তাদের। অবতরণ কেন্দ্রের আরেকজন পাইকার বাদশা মিয়া বলেন, সব পাইকাররাই নির্দিষ্ট পুঁজি নিয়ে মাছ কেনাবেচা করে। একবার মাছ কিনলে তার সে পুঁজি মাছে আটকে যায়। মাছ বিক্রি করতে পারলে লাভসহ পুঁজি ফিরে আসে, তখন দ্বিতীয়বার মাছ কিনতে পারেন ওই পাইকার। পদ্মাপাড়ে ফেরি পার হতে দুই-একদিন সময় লাগে। তাই একবার মাছ কেনার পর দ্বিতীয়বার কিনতে সময় লাগে দুই থেকে তিনদিন। এতে লোকসান যেমন জেলেদের, তেমনি পাইকারদেরও।
 
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মাসে ১০ থেকে ১৫ বার মাছ পাঠাতে পারি। আর পদ্মাসেতু চালু হলে প্রতিদিন মাছ পাঠাতে পারবো। এতে জেলে ও পাইকার উভয়ের আয় বাড়বে। সমুদ্রগামী ট্রলার এফবি মায়ের দোয়ার মাঝি কাদের হাওলাদার জানান, মাছ বেচতে গেলেই পাইকাররা দাম বলতে চায় না। মাছ পাঠাতে দেরি হওয়ায় মাছের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই ভালো মাছ নিয়ে গেলেও স্বল্পমূল্যে মাছ কেনেন পাইকাররা। এতে উত্তাল সমুদ্র দাপিয়ে মাছ ধরেও ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারছিলেন না জেলেরা। তবে তাদের আশা, পদ্মাসেতু চালু হলে এই বাধা আর থাকবে না। বাজারে তখন পাইকার সংখ্যা বাড়বে। ভালো দামে মাছ বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন জেলেরা।
 
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, উপকূলের জেলেরা তাদের মাছ ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে অর্থনৈতিক অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন ঘটবে বলে আমি আশা রাখছি। এ কারণে তখন তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে সৌখিন সামগ্রীটাও কিনতে পারবেন। এ কারণে পদ্মাসেতু চালু হলে শুধু যে মৎস্যজীবীদের উপকার হবে তা নয়, সামগ্রিক দক্ষিণাঞ্চলের সব ব্যবসায়ীদের মান উন্নয়ন হবে বলে বিশ্বাস রয়েছে।
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।