দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে যুবকদের দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। নিজের জীবনকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতেও প্রতিটি যুবককে দক্ষ হতে হবে। বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস আজ। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ সভায় প্রতি বছর জুলাই মাসের ১৫ তারিখকে ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিবছর ১৫ জুলাই সারাবিশ্বে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের তরুণদের বিভিন্ন দক্ষতায় দক্ষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানানো এবং ভবিষ্যতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ যুবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা। দক্ষতা বদলে দেয় জীবন। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। আর দক্ষ ও যোগ্য যুবসমাজ গড়তে শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় পেশায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কীয় সকল কার্যক্রমের সমন্বয়সাধন, দক্ষতার পারস্পারিক স্বীকৃতি, অভিন্ন প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও সনদায়ন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুবসমাজের আইকন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে- যুবরাই জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। শুধু তাই নয়- তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় এবং সৃজনশীল। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যুবসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং কৃষিভিত্তিক বহুমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ