দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মা মাছ ছাড়াই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো সম্ভব। কারন আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে প্রায় সকল কাজই খুব সহজ করে দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রত্যেক জায়গায়, প্রত্যেকটি স্থানে এবং প্রত্যেকটি কাজে। সব কাজের মধ্যেই নতুন আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। আধুনিক ভাবে কাজ করতে আমরা সকলেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। প্রযুক্তি ছাড়া যেন আমাদের এক মুহূর্ত চলে না। তাই এখন আমরা যেখানেই যাই না কেন প্রযুক্তি আমাদের থেকে দূরে যায় না বরং আমাদের হাতের কাছেই এসে ধরা দেয়। বাদ পড়েনি মঃস চাষেও।
এমন একটি অদ্ভুত ও চমৎকার প্রযুক্তি হল জল থেকে ডিমওয়ালা মা মাছ গুলোকে ধরে সেই ডিমগুলোকে সংগ্রহ করে সেই ডিমগুলো থেকে আবার বাচ্চা ফোটানোর কাজ করে সেই বিশেষ প্রযুক্তি। মা মাছ ছাড়া প্রজনন কাজ প্রায় অসম্ভব। সাহায্য দরকার বাবা মাছের। তবে প্রযুক্তির কাছে সবকিছু হার মানতে বাধ্য। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে। হয়েছে মাছের বংশ বিস্তার করার একটি সুন্দর ও ঝুঁকি মুক্ত মাধ্যম।
এখন অনেক আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়। শুধু পুকুরে নয় বরং মাছ চাষ করার রয়েছে বিভিন্ন আধুনিক ফার্ম। সে ফার্মে মাছ চাষ করার পাশাপাশি মাছের ডিম থেকে মা ছাড়া বাচ্চা ফোটানোর কাজ করানো হয়। কিভাবে এ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় তা এখনো হয়তো অনেক মানুষের অজানা।
প্রথমে নদী বা জলাশয় হতে মা ও বাবা মাছ সংগ্রহ করা হয়। তারপর তাদের যত্ন সহকারে ছোট জলাশয়ে রাখা হয়। কর্মীরা যখন মা মাছের ডিম ছাড়ার সময় হয় তখন বুঝতে পারে। তখন হাত দিয়ে অতি যত্ন সহকারে টিপে টিপে মা মাছ হতে ডিম বের করে। অত:পর সাথে সাথে বাবা মাছ হতে শক্রাণু বের করে ডিমের উপর আলতো করে মিশিয়ে দেয়া হয়। এরপর ডিমগুলোকে স্রোত যুক্ত অল্প পানিতে রাখতে হয়। ১ থেকে ২দিনের মধ্যেই ডিম হতে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চাগুলোকে সংগ্রহ করে অন্য আর একটি স্রোত যুক্ত পাত্রে স্থানান্তর করা হয়। ১ এর ২ থেকে দিনের মধ্যেই মাছের বাচ্চাগুলো বড় জলাশয়ে স্থানান্তরের উপযুক্ত হয়। এই প্রতিটি ধাপ অতি দক্ষতার সাথে করতে হয়।
মাছ চাষ করার ফার্মগুলোতে প্রজনন করার পর মা মাছগুলোকে আবার মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। আজকাল অনেক উন্নত মানের শিক্ষিত মৎস্যজীবীরা এই অনন্য উন্নত পদ্ধতি তাদের মৎস্য খামার তৈরি করে ব্যবহার করছে। তাদের এই কাজটি প্রশংসার যোগ্য। প্রযুক্তি এই ব্যবহার মাছ চাষে এক অনন্যমাত্রা যোগ করেছে।
দেশকন্ঠ/রাসু