• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩২
মা মাছ ছাড়া

আধুনিক প্রযুক্তিতে ডিম থেকে প্রজনন

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মা মাছ ছাড়াই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো সম্ভব। কারন আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে প্রায় সকল কাজই খুব সহজ করে দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রত্যেক জায়গায়, প্রত্যেকটি স্থানে এবং প্রত্যেকটি কাজে। সব কাজের মধ্যেই নতুন আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। আধুনিক ভাবে কাজ করতে আমরা সকলেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। প্রযুক্তি ছাড়া যেন আমাদের এক মুহূর্ত চলে না। তাই এখন আমরা যেখানেই যাই না কেন প্রযুক্তি আমাদের থেকে দূরে যায় না বরং আমাদের হাতের কাছেই এসে ধরা দেয়। বাদ পড়েনি মঃস চাষেও। 
 
এমন একটি অদ্ভুত ও চমৎকার প্রযুক্তি হল জল থেকে ডিমওয়ালা মা মাছ গুলোকে ধরে সেই ডিমগুলোকে সংগ্রহ করে সেই ডিমগুলো থেকে আবার বাচ্চা ফোটানোর কাজ করে সেই বিশেষ প্রযুক্তি। মা মাছ ছাড়া প্রজনন কাজ প্রায় অসম্ভব। সাহায্য দরকার বাবা মাছের। তবে  প্রযুক্তির কাছে সবকিছু হার মানতে বাধ্য। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে। হয়েছে মাছের বংশ বিস্তার করার একটি সুন্দর ও ঝুঁকি মুক্ত মাধ্যম।
 
এখন অনেক আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়।  শুধু পুকুরে নয় বরং মাছ চাষ করার রয়েছে বিভিন্ন আধুনিক ফার্ম। সে ফার্মে মাছ চাষ করার পাশাপাশি মাছের ডিম থেকে মা ছাড়া বাচ্চা ফোটানোর কাজ করানো হয়। কিভাবে এ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় তা এখনো হয়তো অনেক মানুষের অজানা।
 
প্রথমে নদী বা জলাশয় হতে মা ও বাবা মাছ সংগ্রহ করা হয়। তারপর তাদের যত্ন সহকারে ছোট জলাশয়ে রাখা হয়। কর্মীরা যখন মা মাছের ডিম ছাড়ার সময় হয় তখন বুঝতে পারে। তখন হাত দিয়ে অতি যত্ন সহকারে টিপে টিপে মা মাছ হতে ডিম বের করে। অত:পর সাথে সাথে বাবা মাছ হতে শক্রাণু বের করে ডিমের উপর আলতো করে মিশিয়ে দেয়া হয়। এরপর ডিমগুলোকে স্রোত যুক্ত অল্প পানিতে রাখতে হয়। ১ থেকে ২দিনের মধ্যেই ডিম হতে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চাগুলোকে সংগ্রহ করে অন্য আর একটি স্রোত যুক্ত পাত্রে স্থানান্তর করা হয়। ১ এর ২ থেকে দিনের মধ্যেই মাছের বাচ্চাগুলো বড় জলাশয়ে স্থানান্তরের উপযুক্ত হয়। এই প্রতিটি ধাপ অতি দক্ষতার সাথে করতে হয়। 
 
মাছ চাষ করার ফার্মগুলোতে প্রজনন করার পর মা মাছগুলোকে আবার মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।  আজকাল অনেক উন্নত মানের শিক্ষিত মৎস্যজীবীরা  এই অনন্য উন্নত পদ্ধতি তাদের মৎস্য খামার তৈরি করে ব্যবহার করছে। তাদের এই কাজটি প্রশংসার যোগ্য। প্রযুক্তি এই ব্যবহার মাছ চাষে এক অনন্যমাত্রা যোগ করেছে। 
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।