• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:২৫

সওজের দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করল সিসিক

  • জাতীয়       
  • ৩১ জুলাই, ২০২২       
  • ৭৬
  •       
  • ৩১-০৭-২০২২, ০৮:৫০:০২

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : নগরের অভ্যন্তরে সড়ক ও জনপথের ভূমি উদ্ধার করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ সময় উদ্ধারকৃত ভূমিতে গড়ে তোলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) নগরের পাঠানটুলা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে যুগের পর যুগ দখলে থাকা এসব ভূমিতে গড়ে তোলা অন্তত অর্ধশতাধিক ভবনের অংশ ও পাঠানটুলা এলাকা ‘জামান ভিউ’ নামে একটি ভবন পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ভবনটি সড়ক ও জনপদের ৭০ ফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভবনটির ফ্ল্যাট ও দোকান ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল দখলদাররা। সিসিক ও সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবন মালিককে একাধিক নোটিশ দিয়ে টানা দুই সপ্তাহ মাইকিং করলেও কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।  
 
ফলে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) থেকে সওজ ও সিসিক মিলে সার্ভে করে যৌথ অভিযানে নামে। তিন দিনের উচ্ছেদ অভিযানে জামান ভিউসহ অর্ধশতাধিক ভবন, মার্কেটের দখলকৃত অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লন্ডনি রোড, পাঠানটুলা, পশ্চিম পাঠানটুলায় অন্তত ৬০টি ভবনে ভাঙচুর করা হয়। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে এসব জায়গা অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ)। আমরা ড্রেনের কাজ শুরু করেছি। ৮ ফুট ড্রেন না হলে পানি সরবরাহ ঠিক থাকছে না। এ অবস্থায় সওজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ড্রেন প্রশস্তকরণে জায়গা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তারা জানান, তাদের অনেক জায়গা দখল হয়ে আছে। যৌথ সার্ভে করে দখলকৃত জায়গার কোথাও ১৬০ ফুট, কোথাও ২০০ ফুট নির্ধারণ করে দখল ছাড়তে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় সিসিক ও সওজ একযোগে প্রায় ১৫ দিন মাইকিং করে জানিয়ে দেয়। কিন্তু যারা দখলে আছে, তারা ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিলেও তারা ভবনের দখল ছাড়েনি বা ভাঙেনি। যে কারণে আমরা অ্যাকশনে গেছি।  
 
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভাড়াটিয়াদের ছেড়ে যেতে বলেছি। মানবিক কারণে এ তিন দিন পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করিনি। এখন আজকে ভাঙার উদ্যোগ নিলে তারা ছেড়ে যাচ্ছেন। সিসিক মেয়র বলেন, ওইসব জায়গায় সিসিকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে স্যাটেলমেন্ট জরিপের নামজারি দিয়ে। সরকারি জায়গা নিজেদের নামে করে নিয়ে ভবন তৈরির অনুমোদন থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন নিয়েছেন। তৎকালীন ভূমি জরিপে যারা নামকরণ করে দিয়েছেন, তারা নিশ্চই এখন অবসরে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া নগরভবনে যারা ভবন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন তাদের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সওজ এ ভূমি ১৯৭২ সালে অধিগ্রহণ করে। যুগ যুগ ধরে দখলে নিয়ে ভোগ করে আসছিল। ড্রেনেজ সম্প্রসারণ করতে গিয়ে সিসিক সেগুলো উদ্ধার করে দিয়েছে। এসব ভূমির মালিকানা নেই দখলদারদের।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।