• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৮
ভারতীয় ফুটবলে আরও একটি নক্ষত্র পতন

চলে গেলেন অলিম্পিয়ান বদ্রু ব্যানার্জি শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন

 দেশকন্ঠ ডেস্ক : প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত প্রাক্তন ফুটবলার সমর ব্যানার্জি, যিনি বদ্রু ব্যানার্জি নামেই পরিচিত। শুক্রবার রাত ২.১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। রেখে গেলেন নাতনি এবং পুত্রবধূকে। 
 
২৭ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএমে। গত কয়েকদিন ধরেই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। প্রায় ২৪ দিনের লড়াইয়ের পর শুক্রবার মধ্যরাতে প্রয়াত হলেন বদ্রু ব্যানার্জি। পিকে ব্যানার্জি, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পর বাংলার ফুটবল হারাল আরও এক কিংবদন্তিকে। 
 
১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন বদ্রু ব্যানার্জি। চার নম্বরে শেষ করেছিল ভারত। তাঁর নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সেরা পারফরম্যান্স। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত মোহনবাগানে খেলেন। ১৯৫৮ সালে অধিনায়কও ছিলেন। সবুজ মেরুন জার্সিতে ১০টি ট্রফি জিতেছেন। ১৯৫৩ এবং ১৯৫৫ সালে প্রথমবার ডুরান্ড কাপ এবং রোভার্স কাপ জেতে মোহনবাগান। সেই বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। মোহনবাগান দলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে বিদেশ সফরেও গিয়েছিলেন বদ্রু ব্যানার্জি। সেই সফরে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ছিলেন তিনি। 
 
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চারটে গোল রয়েছে কিংবদন্তি ফুটবলারের। সবুজ মেরুন জার্সিতে মহমেডানের বিরুদ্ধে করেছেন পাঁচ গোল। ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে সন্তোষ ট্রফি জেতার নজির রয়েছে তাঁর। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ১৯৫৩ এবং ১৯৫৫ সালে ফুটবলার হিসেবে সন্তোষ জেতেন। ১৯৬১ সালে বাংলার কোচ হিসেবে জেতেন সন্তোষ ট্রফি। ভারতীয় ফুটবল দলের নির্বাচকও ছিলেন। মানস ভট্টাচার্য এবং বিদেশ বসুর মতো ফুটবলারকে তিনিই তুলে আনেন। ২০০৯ সালে মোহনবাগান রত্ন পান। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতা ময়দানে।
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।