• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০০

হোয়াইটওয়াশ করে ফিরতে চান বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচ জিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে চায় লিটন দাসের দল। বিশেষ করে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স চাইছেন সেরা সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরতে। অথচ জন্ম ও বেড়ে ওঠা দেশটির ক্রিকেটার পরবর্তীতে হয়েছিলেন প্রধান কোচও। সেই ফিল সিমন্স এখন শত্রু পক্ষ বাংলাদেশ শিবিরের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে। তার অধীনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সিমন্স চান শেষ ম্যাচও জিতে যেন হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারেন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তার আগে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়ের আকাঙ্খার কথা বলেছেন সিমন্স। এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ নিশ্চিত করেছে। যা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৬ বছর পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এবার হোয়াইটওয়াশ করে সেই উদযাপনের ষোলকলা পূর্ণ করতে চান টাইগারদের উইন্ডিজ কোচ।
 
লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে ফিল সিমন্স বলছেন, কোনো দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে কাজ করি, এখানেও সেটাই করছি। হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে কি না জানি না। সিরিজ জিতেছি, এটাই বড় বিষয়। শেষ ম্যাচ তো জিততে চাইব অবশ্যই। জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে চাই, হাসিখুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে চাই। ছেলেরা কোন দলের বিপক্ষে খেলছে সেটা বড় বিষয় নয়, তারা যেন জানে তাদের করণীয় কী। ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজদের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে ফরম্যাটটিতে শিষ্যদের পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে বলে দাবি সিমন্সের, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দুটো দল ভিন্ন। দুই দলে কিছু পরিবর্তন আছে। অনেকে আছে যারা ওয়ানডে দলে ছিল না, কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে এসে যোগ দিয়েছে। আপনি সবসময় আগের চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স চাইবেন। ওয়ানডে সিরিজ হারের পরও ছেলেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছে। যদিও ওয়ানডেতেও আমরা ভালো খেলেছি।
 
সিমন্স আরও বলেন, আমার মনে হয় ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স ওদের আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে যে এই দলের বিপক্ষে ভালো করা সম্ভব। যদিও ফরম্যাটটা একেবারেই আলাদা। যতটা সহজে আমরা জিতেছি, তা আগেভাগে অনুমান করার সুযোগ নেই। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজে হারের পরও এটাতে যেভাবে খেলেছে, আরও যোগ করেন তিনি। শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়ের সামর্থ্য আছে বলে উল্লেখ করেন সিমন্স, আমি প্রতিটি ম্যাচের আগেই বিশ্বাস করি জেতা সম্ভব। ওয়ানডে সিরিজে কোনো ম্যাচ না জিতলেও এখানে এসে আমরা এই আলোচনা করেছি কীভাবে জেতা সম্ভব। প্রথম ম্যাচে এবং দ্বিতীয়টিতেও, এবার তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে বসব কীভাবে জেতা যায়। আমাদের জয়ের সামর্থ্য আছে। এদিকে লিটনের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন হেড কোচ। দলকে তার নেতৃত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
 
সাম্প্রতিক সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টিতেও রানে ফিরতে পারেননি। আর কবে রানে ফিরবেন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার এমন প্রশ্নও উঠছে। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের বিশ্বাস, শিগগিরই ফর্মে ফিরবেন লিটন। যদিও নেতৃত্বের জন্য লিটনের প্রশংসা করেছেন ক্যারিবীয় এই কোচ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টির আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিটনের ক্যাপ্টেন্সির প্রশংসায় সিমন্স, এই দুটি ম্যাচেই লিটন মাঠে দারুণ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বেশ ভালোভাবেই লিডারের দায়িত্ব পালন করছে। রান করছে না এটা একটু চিন্তার বিষয়। তবে সবাই তো প্রতিদিন রান করবে না। খেলোয়াড়রা প্রস্তুত থাকে ভালো করার জন্য। আশা করি শেষ ম্যাচে সে ঘুরে দাঁড়াবে।
 
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেট নিয়ে সিমন্স বলেন, প্রথম দিন উইকেট অনেক ভালো ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে যত সময় গড়িয়েছে ব্যাট করা তত কঠিন হয়েছে। তবে লড়াই করেই জিততে হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়ের কাছেই পিচ একইরকম। টার্ন করেছে বেশ, তবুও বলব না ১৩০ রানের উইকেট এটা। শামীমের ব্যাটিং নিয়ে সিমন্স বলেন, শামীম ম্যাচসেরা হয়েছে, অবশ্যই ওর পারফরম্যান্সে তো খুশি। সে দুটি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করেছে। এর আগে অনুশীলনেও নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। সে জানে তাকে কী করতে হবে। দেখে ভালো লাগছে। ম্যাচটার পাশাপাশি হোয়াইটওয়াশই এখন লক্ষ্য।
পথরেখা/আসো 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।