দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের নিরাপত্তায় সিসিটিভি স্থাপনের কাজে আইনজীবী সমিতি বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পরীর পাহাড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও আদালত অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রার্থী এবং বিচারপ্রার্থীরা যাতায়াত করেন। এই পরীর পাহাড়ে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়ে চোর, বাটপার, ছিনতাইকারী, দালাল, টাউটদের রয়েছে নিত্য আনাগোনা।
পরীর পাহাড়ে সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেবাপ্রার্থীদের সেবাদান সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করার জন্য ১৪৮টি সিসিটিভি মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এতেও থেমে নেই দুষ্কৃতিকারীরা। কয়েকটি ক্যামেরা তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া মাঝে মধ্যেই এখানে সেবাপ্রার্থীদের টাকা চুরি বা মোবাইল ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরীর পাহাড় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নিচ্ছিদ্র করার স্বার্থে আজ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরোনো জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করছিল স্থানীয় একটি ঠিকাদার কোম্পানি। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে তাদেরকে কাজে বাধা দেন ৫-৭ জন আইনজীবী।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম দাবি করেন, আইনজীবীদের একটি দল আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে এসে সিসিটিভি কাজে নিয়োজিত টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ারদের দ্রুত সিসিটিভি স্থাপনের সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে হুমকি দেন। এসময় তারা বলেন, 'এখানে কোনো সিসিটিভি বসাতে দেওয়া হবে না। আমাদের সেক্রেটারি স্যার সব ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বলেছেন। যত দ্রুত পারেন আপনাদের মাল জিনিস নিয়ে এখান থেকে চলে যান, নাহলে ক্যামেরাগুলো আমরাই ভেঙে ফেলব।' তিনি বলেন, ক্যামেরাগুলো পরে লাগানো হবে। সিকিউরিটির প্রশ্নে ছাড় দেওয়ার কিছু নেই।
দেশকন্ঠ/অআ