• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:১৮

‘কলেজে পড়তে হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগ করতে হবে’

  • জাতীয়       
  • ২১ আগস্ট, ২০২২       
  • ৬৪
  •       
  • ২১-০৮-২০২২, ০৯:০৩:২৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়তে হলে ছাত্রলীগ করা বাধ্যতামূলক। এ কলেজের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের পতাকাতলে আনতে না পারলে সিনিয়রদের নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বলেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন। বুধবার (১৭ আগস্ট) ২০০৫ সালের আগস্টে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলায় জড়িতদের বিচার সম্পন্ন ও মদদদাতাদের শাস্তির দাবিতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের কালো পতাকা, মৌন মিছিল ও সমাবেশে দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, এ দেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। এই কলেজের উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিও ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন। এই সরকার ছাত্রলীগের সরকার।
 
এই কলেজের ক্যাম্পাসে, কলেজের শিরা-উপশিরায় ছাত্রলীগের হক রয়েছে। সুতরাং আপনারা যদি ছাত্রলীগের হকের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ালেখা করতে চান তবে কেন ছাত্রলীগ করবেন না। আপনাদের বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগ করতে হবে। এই কলেজের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছি, আমরা যদি পরবর্তীতে এসে এই ক্যাম্পাস কানায় কানায় ছাত্রলীগ কর্মী না দেখি, তবে আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। এদিকে ওই সমাবেশের দুই দিন পর শনিবার (২০ আগস্ট) ছাত্রলীগ সভাপতির বক্তব্যটি ভাইরাল হলে কক্সবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বক্তব্যটি অনেকে ইতিবাচক হিসেবে নিতে পারলেও বেশির ভাগ মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। ফেসবুকে নুরুল আবছার নামে একজন লিখেছেন, কর্মীর অভাব পড়লেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আবদুল্লাহ আল মামুন নামের একজন লিখেছেন, স্বৈরাচারী কথা। আবার বক্তব্যকে ইতিবাচক বলে তারেক মাহমুদ রনি নামে বলেন, এক সময় কক্সবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রশিবির করা বাধ্যতামূলক ছিল। কত আওয়ামী পরিবারের সন্তান নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তা কারও অজানা নয়। সেই কলেজে ছাত্রলীগের পতাকা উড়ুক যুগের পর যুগ। এস এম সাদ্দাম ভালো মন্তব্য করেছেন।
 
এক সাংবাদিক নেতা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আজ যারা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বক্তব্যের সমালোচনা করছেন, আপনারা কি ভুলে গেছেন সেই সময়ের কথা? শিবিরের হাতে কত প্রগতিশীল ছাত্রনেতার রক্ত ঝরেছে কক্সবাজার কলেজ ক্যাম্পাসে। আমি নিজেও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে তাদের হাতে কত হেনস্তার শিকার হয়েছি, এমনকি আমাকে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেওয়া হয়নি। ধন্যবাদ সাদ্দামকে, তবে কথা আর কাজের মধ্যে যেন মিল থাকে। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, কলেজের কিছু সিনিয়র শিক্ষক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো কোনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির দিকে ধাবিত করা যাবে না। এজন্য আমার ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ যারা আছে, তাদের বলেছি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করে পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সবাইকে আহ্বান করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের নৈতিক অধিকার। দেশের গর্বিত অংশীদার ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। সেই সংগঠনের প্রচার আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।