দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। রোববার (২১ আগস্ট) তিনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান পাবর্ত্যাঞ্চলের বিভিন্ন আর্মি ক্যাম্প এবং কক্সবাজার জেলায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সীমান্ত সড়ক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ চলছে।
সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুন ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত। প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলায় চলমান রয়েছে, যার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার। প্রকল্পটি দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে, এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৭টি সেগমেন্টে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় পর্যায় সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে পার্বত্য জেলাসমূহের সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, সীমান্তের দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা (অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ইত্যাদি) বন্ধ, পাশের দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা ও বাণিজ্যের প্রসার এবং সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের মূল ভূখণ্ডে পরিবহন করা যাবে, যা পার্বত্যাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পার্বত্য জেলাসমূহের মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন হবে, যা নিরাপত্তা কার্যক্রম ও শান্তিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিদর্শনকালে চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সেনাসদর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন সেনা ও বিজিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/অআ