দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো’ এই কথাটা বোধ হয় এলান্ড রোডে হাজির কোনো লিডস সমর্থককে বলে দিতে হবে না! গেল মৌসুমে কোনোক্রমে অবনমন এড়ানো দলটা যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দল চেলসির জালে গুনে গুনে জড়িয়েছে ৩ গোল, এমন দিন কোনো সমর্থক ভোলেন কী করে? মনে রাখার আরও একটা কারণও আছে বৈকি! চেলসির বিপক্ষে ৩-০ গোলের এই জয় দলটিকে উঠিয়ে এনেছে লিগের শীর্ষ চারেও। নিজেদের মাঠে দিনটা যে অন্যরকমই হতে যাচ্ছে, সে আভাসটা যেন শুরু থেকেই দিয়ে যাচ্ছিল লিডস। অফুরান প্রেসে নাভিশ্বাস তুলছিল, যার ফলে ভুলও করছিল চেলসি। দুয়েকটা প্রতি আক্রমণ যে সামলাতে হয়নি বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। সেসব অবশ্য লিডস সামলে নিয়েছে দারুণভাবেই।
তবে সবকিছুর পরও লিডসকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে চেলসির একটা বড় ভুলের জন্য। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে বল পায়ে ভুল করে বসেন চেলসি গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দি। ব্রেন্ডান অ্যারানসন তার কাছ থেকে বলের দখল নিয়ে তার দুই পায়ের ফাঁক দিয়েই বলটা বের করে নিয়ে যান, এরপর জড়ান ফাঁকা পোস্টে। এর স্রেফ চার মিনিট পর স্বাগতিকরা ব্যবধান বাড়ায় ইন ফর্ম স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রদ্রিগোর কল্যাণে। জ্যাক হ্যারিসনের ফ্রি কিকটা তিনি চেলসি জালে জড়ান দারুণ এক হেডারে। চলতি মৌসুমে তিন ম্যাচে যা তার চতুর্থ গোল। ম্যাচের শুরুতে তিন জনের রক্ষণ নিয়ে শুরু করা চেলসি বিরতির পর চার জনের রক্ষণের কৌশলে ফেরত যায়। তবে তার প্রভাব দলের খেলায় পড়েনি একটু। বরং মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছিল বেশ, আর লিডস সেটার ফায়দাই তুলেছে ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে।
দ্বিতীয় গোলের কারিগর হ্যারিসন করেন গোলটা, ড্যানিয়েল জেমসের ক্রসে ফিনিশিং টাচটা দিতে পারেননি রদ্রিগো। তবে ছয় গজের বক্সে লুজ বলটা ঠিকই পেয়ে যান হ্যারিসন। আলতো টোকায় করেন গোলটা। ম্যাচটা তাতে চলে যায় চেলসির নাগালের বাইরে। এ পর্যন্ত চেলসির দিনটা খারাপ ছিল, শেষ মুহূর্তে সেটা আরও খারাপ হলো কালিদু কুলিবালির দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে। ফলে ১০ জনের দল নিয়ে শেষমেশ ৩-০ গোলে হারে চেলসি। এই জয়ের ফলে লিডস তিন ম্যাচ শেষে সাত পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে লিগের শীর্ষ দুইয়ে। আর চেলসি চলে গেছে লিগের নিচের অর্ধে। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে ১২তম অবস্থানে।
দেশকন্ঠ/অআ