দেশকন্ঠ ডেস্ক : ম্যাচের আগে শোনা গেছে অনেক গুঞ্জন, বিতর্ক ও বিরোধের কথা। মপলিয়েরের বিপক্ষে ম্যাচের টুকরো ছবি-ভিডিও দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে, ঝামেলা রয়েছে পিএসজির তিন তারকা লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কাইলিয়ান এমবাপের মধ্যে। কিন্তু মাঠে নামতেই উড়ে গেলো সব গুঞ্জন। রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে আবারও একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন পিএসজির তিন তারকা। এমবাপের হ্যাটট্রিক, নেইমারের জোড়া ও মেসির এক গোলে লিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতলো পিএসজি। জোড়া গোলের সঙ্গে তিনটি অ্যাসিস্টও করেছেন নেইমার। এ নিয়ে চলতি লিগের প্রথম তিন ম্যাচে পিএসজির গোল হলো ১৭টি। প্রায় ৭২ বছর আগে ১৯৫০-৫১ মৌসুমে প্রথম তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছিল রেনে। এরপর থেকে প্রথম তিন ম্যাচে পিএসজির ১৭ গোলই সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে ফর্মের চূড়ায় রয়েছেন নেইমার। আগের ম্যাচেও করেছিলেন জোড়া গোল, দুইবার বল জালে জড়ালেন এ ম্যাচেও। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে পাঁচ গোলের সঙ্গে ছয়টি অ্যাসিস্টও করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। লিলের মাঠে খেলতে গিয়ে লিড নিতে একদমই দেরি করেনি পিএসজি। ম্যাচের কিক অফ থেকেই মাত্র ৮.৩৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে মেসির লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি তরুণ। ফ্রেঞ্চ লিগে ২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে পরিসংখ্যান সংরক্ষণের পর থেকে এমবাপের এটিই দ্রুততম গোলের রেকর্ড। যা ছিল মূলত পিএসজির দাপটের শুরু। প্রথমার্ধেই চার গোল করে ফেলে তারা, দ্বিতীয়ার্ধে করে আরও তিনটি।
এমবাপেকে দিয়ে গোল করানোর পর ২৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন মেসি নিজেই। নুনো মেন্ডেসের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়ায় ডান পায়ের ফিনিশিংয়ে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে আশরাফ হাকিমি ও পরে ৪৩ মিনিটে নেইমার নিজেই গোল করে দলের হালিপূরণ করেন। বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে আবার গোল করেন ব্রাজিলের পোস্টারবয়। এর দুই মিনিট পর অবশ্য এক গোল শোধ করে দেয় লিল। তবে ৬৬ ও ৮৭ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক তুলে নেন এমবাপে। যা পিএসজিকে এনে দেয় বড় জয়। তিন ম্যাচে ১৭ গোল করে পাওয়া তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান করছে পিএসজি।
দেশকন্ঠ/অআ