দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে বেইল বন্ডে সম্রাটের সইয়ের মাধ্যমে কারামুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার বলেন, রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে জামিনের কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টার দিকে তিনি বেইল বন্ডে সই করেন। এর মধ্য দিয়ে সম্রাটের কারামুক্তির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। তবে তিনি হাসপাতালে থেকে কখন ছাড়া পাবেন, সেই সিদ্ধান্ত চিকিৎসকরা নেবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান বলেন, সম্রাটের বিষয়ে আজ রাতে আর কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনো চিকিৎসকরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি যে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারা কাল সকালে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। অসুস্থ বিবেচনায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে তার। তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিলে আবার তার বন্দিজীবন শুরু হয়।
দেশকন্ঠ/অআ