দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ম্যাচ শুরুর আগেই চমকে দিয়েছিলেন টেন হাগ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ক্লাব অধিনায়ক হ্যারি মাগুয়েরকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজিয়েছিলেন ইউনাইটেড কোচ। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে আক্রমণভাগের পুরোধা হিসেবে ছিলেন রাশফোর্ড। তার পেছনে ছিলেন সানচো, ব্রুনো ফের্নান্দেস এবং অ্যান্থনি এলাঙ্গা। শুরু থেকেই ক্লপের লিভারপুলের চোখে চোখ রেখে খেলতে থাকে ইউনাইটেড। আগের দুই ম্যাচে বাজে দুই হারের সম্মুখীন হলেও এদিন যেন মাঠে নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়ার পণ করে নেমেছিলেন রেড ডেভিলরা। তাদের এই আগ্রাসী মনোভাবে সাফল্যও দ্রুতই ধরা দেয়। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে সানচোর দিকে বল বাড়ান এলাঙ্গা। বক্সের মাঝে বল পেয়ে অ্যালিসনকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড সানচো। আর তাতে নতুন মৌসুমে টানা তৃতীয় ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
তবে আগের দুই ম্যাচের মতো এবার আর লিভারপুল সমতায় আসতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আট মিনিটের মাথায় দারুণ এক প্রতি-আক্রমণ থেকে রাশফোর্ড নিচু শটে সফরকারীদের জাল কাঁপান। ভার্জিল ভ্যান ডাইক-জো গোমেজদের রক্ষণকে তুলোধুনো করে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে মোহাম্মদ সালাহ শিরোপার জন্য চলতি মৌসুমে লিভারপুলের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম জানিয়েছিলেন। তার মতে, আর্সেনাল, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটি হতে যাচ্ছে তাদের শিরোপা জয়ের পথে মূল বাধা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তিনি শিরোপা জয়ের যোগ্য বিবেচনা না করলেও এদিন শেষ মুহূর্তে গোল করেও তাদের বিপক্ষে হার এড়াতে পারেননি। ৮১ মিনিটে তার গোল হারের ব্যবধান-ই শুধু কমিয়েছে।
প্রাক-মৌসুমেও লিভারপুলকে হারের তেঁতো স্বাদ উপহার দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। থাইল্যান্ডের রাজামাঙ্গালা স্টেডিয়ামে ইউনাইটেডের ডাগআউটে টেন হাগের প্রথমদিনেই ক্লপের দলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারি থেকে ইউনাইটেডের অবিস্মরণীয় জয় উপভোগ করেছেন দলে নতুন সংযোজন কাসেমিরো। ইউনাইটেডের কাছে হারায় নতুন মৌসুমে এখনো জয়বঞ্চিত লিভারপুল। আগের দুই ম্যাচে ফুলহ্যাম এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ড্র করেছিল তারা। অন্যদিকে মৌসুমের প্রথম জয়ে টেবিলের একেবারে তলানি থেকে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে টেন হাগের দল।
দেশকন্ঠ/অআ