• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪১

এশিয়া কাপে মর্যাদার লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখী

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৫তম আসরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২৮ আগস্ট মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। এ দুই দেশের লড়াইটা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে । এই মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে মুখিয়ে থাকে দু’দলই। তাই প্রতিবারই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। টুর্নামেন্টে এ’ গ্রুপে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপের অন্য দল হংকং। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে নাম লেখায় তুলনামুলক দুর্বল দলটি।
 
রাজনৈতিক সমস্যার কারণে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে না দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছিলো ভারত-পাকিস্তান। তাই একে অপরের মুখোমুখি হতে ভারত-পাকিস্তানের অপেক্ষা করতে হয়- আইসিসির ইভেন্ট বা এশিয়া কাপের জন্য। এবার এশিয়া কাপের মঞ্চে লড়বে ভারত ও পাাকিস্তান। 
 
১৯৫২ সালে টেস্ট দিয়ে  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান। তখন থেকেই বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে। সেই উত্তাপ এই আধুনিক যুগে একটুও কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। নিয়মিত দ্বিপাক্ষীক  সিরিজ না হওয়াতেই উত্তাপ বহুগুনে বেড়ে গেছে। সর্বশেষ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তানের। এরপর থেকেই পরের ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমিরা। অবশেষে দীর্ঘ ১০ মাস পর আরও একটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ভারত-পাকিস্তান লড়াইকে স্রেফ একটি ‘ম্যাচ’ বলেই মনে করেন দু’দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। তাদের মতে, এটি অন্যান্য ম্যাচের মতই। তবে চাপ অনুভব করেন দলে থাকা ক্রিকেটাররা। বাড়তি চাপ থাকায়, মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে মরিয়া ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘সকলেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। খুব চাপের ম্যাচ এটি, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে দলের পরিবেশ হালকা পরিবেশ রাখতে চাই।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই ম্যাচ নিয়ে খুব ভেবে নিজেদের চাপে ফেলতে চাই না। যারা কোন দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেনি বা মাত্র একটি-দু’টি ম্যাচে খেলেছে, তাদের ভাল করে এই ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে চাই। আমরা পাকিস্তানকে অন্য যে কোনও সাধারণ বিপক্ষের মতোই দেখছি। তবে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য আমাদের।’রোহিতের সুরে কথা বলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ম্যাচের মত হলেও, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি চাপ এমনতিতেই চলে আসে। এই চাপকে সামলেই লড়াই করতে হয় ক্রিকেটারদের। কারণ সকলেই জানে, এমন ম্যাচের গুরুত্ব কত বেশি। তাই জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকে ক্রিকেটাররা। এবারও আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামবো।’
 
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক কথায় ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তান। ১০ উইকেটে বিশাল জয়।  বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মত জয়ের দেখা পায় পাকিস্তান। এই  সর্বশেষ জয়ে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি এবং কিছুটা হলেও দল এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন বাবর। তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ ম্যাচে জিতেছিলাম। যেভাবে ভারতকে হারিয়েছিলাম  সেটি প্রশংসা করার মতই ছিলো। ঐ জয় আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।’
 
তবে অতীত নিয়ে ভাবতে রাজি নন রোহিত। সামনের ম্যাচের দিকেই মনোযোগি হতে চান তিনি, ‘গত বিশ্বকাপে আমরা হেরেছিলাম।  ঐ ম্যাচে আমরা দল হিসেবে মোটেও ভালো খেলতে পারিনি। এ ধরনের ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে হয়। তবে অতীতে কি হয়েছে, তা নিয়ে এখন আর আমরা ভাবছি না। শূন্য থেকে আবার এশিয়া কাপে শুরু করতে চাই। অতীতে ক’বার দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে এবং কে বেশি জিতেছে, এ ধরনের পরিসংখ্যান থাকবে। কিন্তু ম্যাচের দিন দু’দলকেই প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।’
 
গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ফর্ম নেই ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলির। তাই কোহলির ব্যাটে  বড় ইনিংসের প্রত্যাশা দলের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে রানে ফি তে পারলে যেনএক ঢিলে দুই পাখি মারা মত অবস্থা হবে কোহলির। পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে থাকলেই, বিশ্বের ১৪তম ও ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামবেন কোহলি। এ ব্যাপারে রোহিত বলেন, ‘আমাদের সবারই প্রত্যাশা  কোহলি ফর্মে ফিরবে। বড় ও ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলবে। তবে কোহলির অফ-ফর্ম নিয়ে নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই। দলের জয়ের জন্য সবসময়ই উন্মুখ থাকে কোহলি। বহু বছর ধরে এটাই করে আসছে সে। এবারও তাই করবে কোহলি। বড় ইনিংস খেলতে ক্ষুধার্ত হয়ে আছে সে। আর কালকে ম্যাচটি কোহলির জন্য স্পেশাল। স্পেশাল ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার বড় সুযোগ তার।’ 
 
কোহলির ফর্ম নিয়ে চিন্তিত ভারত। অন্য দিকে  টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জোড়া ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। ইনজুরির কারণে আগেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। তাদের পরিবর্তে মোহাম্মদ হাসনাইন ও হাসান আলিকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান। দুই পেসারের ছিটকে যাওয়ায় হতাশ বাবর। তিনি বলেন, ‘বিশ্বমানের বোলার আফ্রিদি। সে খেললে খুব ভাল লাগতো। দুর্ভাগ্যবশত ওয়াসিমও ছিটকে গেছেন। ইনজুরির উপর তো কারও হাত নেই। আশা করছি, যারা আছে সকলেই ভালো করবে।’ টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৯বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। সেখানে ৭বার জিতেছে ভারত। ২বার জয় পায় পাকিস্তান। 
 
আর এশিয়া কাপের মঞ্চে মোট ১৫বার মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। তাতে জয়ের পাল্লা ভারী ভারতেরই। ৮বার জয় পায় ভারত এবং ৫বার জিতে পাকিস্তান। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ হয়েছিলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।  ওই আসরে ভারত ৫ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তানকে। 
 
পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হাসান আলি, নাসিম শাহ, শাহনেয়াজ দাহানি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান কাদির।
ভারত দল : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), দিনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদিপ সিং, রবি বিষ্ণই, আভেশ খান, দীপক হুডা ও যুজবেন্দ্রা চাহাল।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।