• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৪

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল আফগানিস্তান

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যেন তার প্রমাণ মিলল শতভাগ। শুরুর তিন ওভার যা বলে দিয়েছিল, ম্যাচের পরের গল্পটা ব্যতিক্রম হলো না একটু। শুরুর দাপটটা ধরে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ১০৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০.১ ওভারেই আফগানিস্তান পকেটে পুরেছে ম্যাচটা।  আফগানরা যে ঢঙে ম্যাচটা জিতেছে, তাতে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বার্তা পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দলেও। শেষ এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে তথৈবচ হাল বাংলাদেশের। এর ওপর শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে আফগানদের এমন জয় একটুও কি চিন্তায় ফেলবে না বাংলাদেশকে? 
 
রাজসিক এই জয়ের শুরুটা আফগানিস্তান করেছিল শুরুর তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে। ফজলহক ফারুকি শুরুর ওভারেই বিদায় করেছিলেন কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালঙ্কাকে। এরপরের ওভারে নাভিন উল হকের শিকার বনেন পাথুম নিসাঙ্কা। ৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা রীতিমতো পড়ে যায় অথৈ সাগরে। সেখান থেকে টেনে তুলে শ্রীলঙ্কাকে এরপর লড়াকু পুঁজির আশা দেখাচ্ছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা আর ভানুকা রাজাপাকশা। দুজনের এই জুটি পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো বিপদ হতে দেননি দলের।
 
তবে পাওয়ারপ্লে শেষেই যেন গুনাথিলাকার মাথায় কী যেন খেলে গেল! রিভার্স সুইপ করলেন মুজিব উর রহমানকে। ডিপ কভারে ফিল্ডার দেখার পরও। শেষমেশ বলটা গিয়ে জমা পড়ে সেখানে থাকা কারিম জানাতের হাতে। ৪৪ রানের জুটি ভাঙে শ্রীলঙ্কার, সাথে সাথে যেন ভাঙে লড়াকু পুঁজির আশাটাও। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা এক পর্যায়ে দুই অঙ্কে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায়। ৭৫ রানে নেই হয়ে যায় ৯ উইকেট। সেখান থেকে চামিকা করুণারত্নের ৩৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসে কোনোক্রমে ১০০ পেরোয় লঙ্কানরা। আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১০৬ রানের।
 
তবে যে দলের ব্যাটিং লাইন আপে আছে রাহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাইদের মতো ব্যাটসম্যান, তাদের সামনে যে এই লক্ষ্য ধসে যাবে বালির বাঁধের মতো, সেটা অনুমিতই ছিল। জবাব দিতে নেমে সেটাই লঙ্কান বোলারদের হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন দুজন। দুই লঙ্কান ওপেনার মিলে শুরুর ছয় ওভারেই লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে দেন দলকে। পাওয়ারপ্লে শেষে তুলে ফেলেন ৮৩ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার শিকার হয়ে গুরবাজ ফেরেন। শেষ দিকে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে রান আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। তাতে আফগানদের দাপুটে জয়টা অবশ্য থামানো যায়নি একটুও। ১০.১ ওভার শেষেই ১০৬ তুলে ফেলে মোহাম্মদ নবীর দল, ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় আফগানরা। এই জয়ে এখন এ গ্রুপের শীর্ষে তো আছেই, আফগানিস্তান বার্তাটা বাংলাদেশকেও দিয়ে রাখল বৈকি!
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।