দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : টেস্ট-ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যে ফরম্যাটই হোক না কেন একজন অলরাউন্ডার বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে দলকে। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া, পাকিস্তানের শাদাব খান তারা যেকোনো সময়ই ম্যাচের চিত্র উলট-পালট করে দিতে পারেন। তেমনি টাইগারদের কনসালট্যান্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম বলছেন, বাংলাদেশ দলে সাকিব আছেন। এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শুরুর আগের দিনে আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীধরণ শ্রীরাম অলরাউন্ডারদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বললেন, আমাদেরও একজন সাকিব আছেন, যিনি বাংলাদেশ দলে ভারাসাম্য ফিরিয়ে আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলরাউন্ডার দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যখন কেউ ৪ ওভার বোলিং করতে পারে, পাঁচ বা ছয় নম্বরে নেমে ব্যাটিং করতে পারে, এমনকি ছক্কাও মারতে পারে। এটা অমূল্য। হার্দিক পান্ডিয়া ও বেন স্টোকসের মতো কম খুব ক্রিকেটার আছে। যে দলে এ ধরনের ক্রিকেটার আছে, তাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। কখনো আপনি অতিরিক্ত একজন ব্যাটার বা বোলার খেলাতে পারেন। আমি কোন এক জায়গায় পড়েছি যে, যদি হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার থাকে তাহলে বলাই যায় ভারতের একাদশে ১২ জন ক্রিকেটার আছে। আমাদেরও সাকিব আছে, যে দলে ভারসাম্য আনে। ৪ ওভার বোলিং করে আবার টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে। নিশ্চিতভাবেই এটা সব দলের জন্য বাড়তি সুবিধা।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আবারো নেতৃত্ব ফিরে পেয়ে সে নিজের কাজগুলো দারুণভাবে করছে বলে জানান শ্রীরাম। আধুনিক টি-টোয়েন্টির সাথে সাকিবের চিন্তা-ভাবনার দারুণ মিল বলে জানান নতুন এই কনসালট্যান্ট। শ্রীরামের ভাষ্য, ‘আমি মনে করি অধিনায়ক খুবই চমৎকার করছে। সাকিবের প্রতি যে প্রত্যাশা করা হয়, সেগুলো সে দুর্দান্তভাবে পালন করছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাপারে তার চিন্তা-ভাবনার প্রক্রিয়া খুবই আধুনিক, যেটা বাংলাদেশের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী। সবাই একসঙ্গে, একই জায়গা থেকে কাজ করা একটা দারুণ শুরু হবে।‘
এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড - সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব (সহ অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
দেশকন্ঠ/অআ